ভুলেও এবার থেকে যেকোনো শুক্রবারে সুন্দরবনে আসবেন না।
প্রশান্ত সরকার , ঝড়খালীঃ দক্ষিণ ২৪ পরগনা: সুন্দরবনের বাঘের সঠিক সংখ্যা নির্ধারণের জন্য এ বছর আরও দীর্ঘ সময় ধরে চলবে ক্যামেরা ট্র্যাপিং। ৩০ দিনের পরিবর্তে এবার এই প্রক্রিয়া চলবে ৪৫ দিন। দক্ষিণ ২৪ পরগনা বনবিভাগ এবং সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের আওতায় মোট ১,৪৪৪টি ক্যামেরা বসানো হবে, যা ৪,১০০ বর্গ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বাঘের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করবে।
সুন্দরবন টাইগার রিজার্ভের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ক্যামেরা ট্র্যাপিংয়ে নির্ভুল ফলাফল পেতে জঙ্গলের বড় অংশ ঢেকে ফেলা হবে। ২১ নভেম্বর ক্যামেরা বসানোর কাজ শুরু হবে এবং ২৬ নভেম্বরের মধ্যে তা শেষ করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত চলবে এই কাজ।
তিনি আরও জানান, দীর্ঘ সময় ক্যামেরা চালু রাখার উদ্দেশ্য হলো, বাঘ যদি কোনো জায়গায় প্রথম ৩০ দিনে না আসে, তাহলে পরবর্তী সময় সে হাজির হলে তার ছবি ধরা পড়বে। প্রতিটি ক্যামেরার ব্যাটারি ৪৫ দিন পর্যন্ত সক্রিয় থাকে, যা বনদপ্তর পূর্ণমাত্রায় কাজে লাগানোর পরিকল্পনা করেছে।
সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্প এলাকায় পর্যটকদের জন্য এবার থেকে প্রতি মঙ্গলবারের বদলে শুক্রবার জঙ্গল বন্ধ থাকবে। আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে এই নিয়ম কার্যকর হবে।
ক্যামেরা ট্র্যাপিংয়ের মাধ্যমে বাঘের সংখ্যা নির্ধারণ ছাড়াও, তাদের আচরণ এবং শিকার করার পদ্ধতির মতো বিষয়গুলোর উপরও নজর রাখা হবে। বনদপ্তরের এক কর্তা জানিয়েছেন, গতবার ক্যামেরায় বাঘের শিকার ধরা পড়ার পাশাপাশি মায়ের সঙ্গে শাবকদের খুনসুটি এবং বিশ্রামের মতো দুর্লভ দৃশ্য দেখা গিয়েছিল। এবারও এমন অজানা তথ্য পাওয়ার প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
অন্য প্রাণীর ছবিও ধরা পড়বে
ক্যামেরায় শুধু বাঘ নয়, মেছো বিড়াল, বুনো শুয়োরসহ অন্যান্য প্রাণীর ছবি ধরা পড়বে। সেগুলোও পর্যবেক্ষণের জন্য আলাদা করে বিশ্লেষণ করা হবে।
এই বাঘ গণনার মাধ্যমে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশ সম্পর্কে আরও বিশদ তথ্য জানা যাবে বলে আশা করছে বনদপ্তর।