দাবাং রুদ্র মূর্তি থেকে মানবিক বিধায়ক পরেশ রাম দাস
নুরসেলিম লস্কর, ক্যানিং
এখনো একটিও সপ্তাহ পার হয়নি,এইতো সেদিনের কথা রীতিমতো সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়ে গিয়েছিলেন ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক পরেশ রাম দাস! তাঁকে দেখা গিয়েছিলো রাস্তা আটকে অবৈধ ভাবে ব্যবসা করা কিছু অসাধু ব্যাবসায়ী কে এবং নো পার্কিং জনে বাইক ও গাড়ি পার্কিং করে রেখে যানজট তৈরী করা যান-চালক দের ধমক দিতে এবং সেই সঙ্গে তাঁকে দেখা যায় এই সমস্ত ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পুলিশ কে পরামর্শ দিতে। একদম দাবাং স্টাইলে! আর এরই মধ্যে বুধবার দুপুরে সেদিনের দাবাং বিধায়ক কে এদিন দেখা গেল মানবিক রূপে । সুন্দরবনের প্রবেশ দ্বার হলো ক্যানিং। সাধারণ পথ চলতি সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে দেশ-বিদেশ থেকে আসা পর্যটক দের ভিড়ে যান-জট ক্যানিংবাসীর নৃত্যদিনের সঙ্গী! আর এই ঐতিহাসিক শহর কে যানজট মুক্ত করতে গ্রীষ্মকাল,বর্ষাকাল সহ বারোমাস রোদ ঝড় জল উপেক্ষা করে কর্তব্যে অবিচল থাকতে হয় ক্যানিং ট্রাফিক পুলিশ কে।যানজট এড়িয়ে ক্যানিং শহরের বিভিন্ন রাস্তাঘাট সচল রাখতে সকাল থেকে রাত অবধি। কঠোর পরিশ্রমও করতে হয়।এমত অবস্থায় ক্যানিং ট্রাফিক পুলিশের পাশে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে পাশে থাকার আশ্বাস দিলেন ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক পরেশরাম দাস।শুধু আশ্বাস নয়,বুধবার সকালে ক্যানিং বাসষ্ট্যান্ডে ছোট্ট এক অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে ক্যানিং ট্রাফিক পুলিশে কর্মরত পুলিশ কর্মী ও সিভিক ভলেন্টিয়ার সহ মোট ২০ জনের হাতে তুলে দিলেন ছাতা ও জলের বোতল সহ বিভিন্ন সামারকিট। আর বিধায়কের কাছ থেকে এদিন এমন উপহার পেয়ে স্বাভাবিক ভাবে খুশি ক্যানিং ট্রাফিক পুলিশের কর্মীরা । আর ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়কের এদিনের এই মানবিক কর্ম যজ্ঞে উপস্থিত ছিলেন ক্যানিং ট্রাফিকের ওসি প্রণব মন্ডল সহ অন্যান্যরা। আর এদিনের এই মানবিক ঘটনা প্রসঙ্গে বিধায়ক পরেশরাম দাস কে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, ‘রোদ ঝড় জল উপেক্ষা করে রাস্তায় দাঁড়িয়ে যানবাহন সামলাতে হয় ক্যানিং ট্রাফিক কে। তাই তাঁরা যাতে রোদ ঝড় জল থেকে যাতে একটু স্বস্তিঃ পেতে পারে,তারজন্য ক্ষুদ্র উপহার স্বরুপ ছাতা এবং জলের বোতল সহ কিছু সামার কিট প্রদান করা হয়েছে। আর আগামী দিনেও যদি ক্যানিং শহর কে যানজট মুক্ত রাখতে কোন কিছুর প্রয়োজনে ক্যানিং ট্রাফিকের হয় তাহলে সেদিনও আমি তাদের পাশে থাকবো'।