শহরে প্রযুক্তি সম্পন্ন সুইমিং পুল থাকলেও গ্রাম গঞ্জে নেই সাঁতার শেখার ব্যবস্থা
নিজস্ব প্রতিবেদক: কুলতলীঃ গত কয়েক বছরে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন ঘেঁষা এলাকায় জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে বহু শিশুর। সম্প্রতি এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সমীক্ষায় উঠে এসেছে এই তথ্য। সংখ্যাটা দিন দিন বাড়ছে বলে জানান
সংস্থার আধিকারিকেরা। সুন্দরবন এলাকায় প্রতি বছর জলে ডুবে বহু শিশুর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এই সমস্যার সমাধানে কুলতলির বৈকুণ্ঠপুর ও চৌরঙ্গিতে পুকুর-ভিত্তিক সুইমিং পুল তৈরি করল আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা'। তাদের উদ্যোগে শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী সাঁতার প্রশিক্ষণে অংশ নিচ্ছে নিয়মিত। সিনির কর্মকর্তা সুজয় রায় জানান, শহরের ছেলে-মেয়েরা যেখানে। আধুনিক সুইমিং পুলে সাঁতার শেখে, গ্রামবাংলার শিশুদের জন্য ঘরোয়া বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে এই প্রশিক্ষণ শিবির তৈরি করা হয়েছে। শিশুদের জীবন রক্ষা ও শরীরচর্চার দিক থেকেও এটি গুরুত্বপূর্ণ।
স্থানীয় সাঁতার প্রশিক্ষক তিনি জানান' গ্রামীণ শিশুদের কথা ভেবে এমন উদ্যোগ দুর্লভএবং প্রাসঙ্গিক। এ প্রসঙ্গে এক সমাজকর্মী বলেন নিজের অর্থে একটি পুকুর-ভিত্তিক সুইমিং পুল তৈরি করেছেন, যেখানে প্রশিক্ষকের মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীরা সাঁতার শিখছে। এ উদ্যোগে সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছে বৈকুণ্ঠপুর শিশু শিক্ষা নিকেতনও, যা এলাকার মানুষকে সচেতন করে তুলছে। মুলত সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকায় প্রায় সব ক্ষেত্রেই বাড়ির ভেতরে থাকা ছোট ডোবা বা জলাশয়ে এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। তাই বাড়ির কাছাকাছি ডোবা বা পুকুর ঘিরে রাখলে ভাল। তা ছাড়া ঘটনা ঘটলে যাতে দেরি না করে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়, সে ব্যাপারে সচেতন করা হচ্ছে। তাঁর কথায়, "গ্রামে আশা কর্মীদের যদি এ ব্যাপারে প্রশিক্ষিত করা যায়, তা হলে তাঁরা দ্রুত প্রাথমিক চিকিৎসাটা দিতে পারবেন। বিদেশের ধাঁচে একেবারে ছোট বয়সে শিশুদের সাঁতার শেখানো হলেও দুর্ঘটনা আটকানো সম্ভব।