ISRO-র প্রযুক্তিতে ভরসা করে গভীর সমুদ্রে পাড়ি দিতে প্রস্তুত সুন্দরবনের মৎস্যজীবীরা!
নিজস্ব প্রতিনিধি , সুন্রসুন্দরবন টিভি | এক মাসের অপেক্ষার অবসান ঘটতে চলেছে। ১৫ জুন থেকে উঠে যাচ্ছে সমুদ্রে মাছ ধরার উপর সরকারের জারি করা নিষেধাজ্ঞা। আর তার পরদিন থেকেই ইলিশের খোঁজে গভীর সমুদ্রের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করবে সুন্দরবনের কয়েক হাজার মৎস্যজীবী ট্রলার।এই বছর একটি বড় পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে—প্রায় প্রতিটি ট্রলারে বসানো হয়েছে ISRO-র উন্নত প্রযুক্তিতে তৈরি ট্রান্সপন্ডার মেশিন। এই মেশিন যে কোনো প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের আগাম সতর্কবার্তা দিতে পারবে। সেই সঙ্গে মৎস্যজীবীরা সমুদ্রের মাঝখান থেকে সরাসরি প্রশাসন, ট্রলার মালিক এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সংস্থার কাছে সংকেত পাঠাতে পারবেন।বিশেষভাবে কাজ করবে এই মেশিন তখন, যখন কোনো ট্রলার বাংলাদেশের জলসীমার কাছে চলে যাবে। সেসময় সতর্কবার্তা পাঠিয়ে দেবে—"সামনেই আন্তর্জাতিক সীমানা", যাতে মৎস্যজীবীরা নিজেরাই সতর্কতা অবলম্বন করতে পারেন।এখন জোর কদমে চলছে প্রস্তুতি
সুন্দরবনের কাকদ্বীপ, নামখানা, পাথরপ্রতিমা, ক্যানিং ও গোসাবা-সহ একাধিক মৎস্যবন্দরে এখন চরম ব্যস্ততা। চলছে ট্রলারে বরফ, খাবার, জালসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র তোলা ও ট্রলার প্রস্তুতির শেষ মুহূর্তের কাজ।মৎস্যজীবী সংগঠনগুলোর অনুমান—এই মরসুমে অন্যান্য বছরের তুলনায় ভালো পরিমাণ ইলিশের দেখা মিলতে পারে। যদিও সবটাই নির্ভর করছে উপযুক্ত আবহাওয়ার উপর।প্রথম দফায় প্রায় ৫০ শতাংশ ট্রলার সমুদ্রে পাড়ি দেবে। মাছের পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে বাকিরাও ধীরে ধীরে সমুদ্রে নামবে।ISRO-র প্রযুক্তি এবার হয়ে উঠছে মৎস্যজীবীদের নতুন সহায়—সুরক্ষিত যাত্রার আশ্বাস দিচ্ছে গভীর সমুদ্রে।