“দিদিকে বলেও” মিলেনি ঘর, নলপুকুরে ক্ষোভের মুখে বিধায়ক শওকত মোল্লা ।

“দিদিকে বলেও” মিলেনি ঘর, নলপুকুরে ক্ষোভের মুখে বিধায়ক শওকত মোল্লা ।

নিজস্ব প্রতিনিধি, ভাঙড়: ‘দিদিকে বলো’ প্রকল্পে ফোন করেও মিলছে না বাংলার আবাস যোজনার ঘর। আবেদন, অভিযোগ সবই সঠিক নিয়মে করেও বছরের পর বছর ধরে বঞ্চিত হয়ে রয়েছেন সাধারণ মানুষ। ঠিক এমনই চিত্র উঠে এলো দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড় ১ নম্বর ব্লকের নলপুকুর এলাকায়। সোমবার সকালে স্থানীয় মানুষদের অভাব-অভিযোগ জানতে নলপুকুরে পৌঁছেছিলেন ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা। তিনি এলাকা পরিদর্শনের সময় একাধিক বাড়ি ঘুরে সরাসরি মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। জানতে চান, সরকারি প্রকল্পের সুবিধা আদৌ মানুষ পাচ্ছেন কি না। আর সেখানেই শুরু হয় ক্ষোভের বিস্ফোরণ।

 নলপুকুরের বাসিন্দা রাসাদুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম সহ একাধিক মানুষ জানান, তাঁরা বারবার আবাস যোজনার জন্য আবেদন করেছেন। বিডিও অফিস, দুয়ারে সরকার ক্যাম্প, এমনকি ‘দিদিকে বলো’ নম্বরে ফোন করেও অভিযোগ জানানো হয়েছে। সরকারি আধিকারিকরা এসে ঘুরে গিয়েছেন, করেছেন জরিপও। কিন্তু তার পরে আর কোনো উত্তর মেলেনি। ঘর পাওয়ার আশাতেই জীবন কেটে যাচ্ছে। মানুষের এই ক্ষোভে অস্বস্তিতে পড়েন বিধায়ক শওকত মোল্লা। তবে তিনি দায়িত্ব এড়িয়ে না গিয়ে ঘটনাস্থলেই নিজে “দিদিকে বলো” হেল্পলাইনে ফোন করে পরিস্থিতির বিস্তারিত জানান। পাশাপাশি বিধায়ক আশ্বাস দেন, আগামী ৬০ থেকে ৯০ দিনের মধ্যেই সমস্যার স্থায়ী সমাধান করা হবে। বিধায়কের এই পদক্ষেপে এলাকায় কিছুটা হলেও আশার আলো দেখছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে আশ্বাস তো আগেও মিলেছে, কাজের কাজ কিছুই হয়নি— এমন সন্দেহ অনেকের মনেই। নলপুকুর এলাকায় এমন চিত্র নতুন নয়। সরকারি প্রকল্পে নাম থাকা সত্ত্বেও বহু মানুষ বছরের পর বছর ধরে ঘর পাননি। সেই অভাব-অভিযোগেরই বহিঃপ্রকাশ ঘটল এবার সরেজমিনে বিধায়ক পরিদর্শনের সময়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় তৈরি হয়েছে ব্যাপক চাঞ্চল্য। অনেকেই বলছেন, শাসক দলের বিধায়কের সরাসরি হস্তক্ষেপে হয়তো এবার কিছু একটা হবে। এখন নজর থাকবে সেই প্রতিশ্রুতি ৯০ দিনের মধ্যেই বাস্তবে পরিণত হয় কি না, সেটাই দেখার।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন