ভোটের মুখে তৃণমূলের মাটি পরীক্ষা, সাহাজাদাপুরে মানুষ বলছে “আবার দিদি”!
কুতুব উদ্দিন মোল্লা, জয়নগর : শিক্ষক বিধায়ক বিশ্বনাথ দাসের নির্দেশে জয়নগর ২ নম্বর ব্লকের সাহাজাদাপুর অঞ্চলে অনুষ্ঠিত হল তৃণমূল কংগ্রেসের "চলো যাই গ্রামে" কর্মসূচির আওতায় একটি আঁচল সভা। এই সভায় তৃণমূল নেতৃত্ব এবং কর্মীরা চুকনগর পাইকপাড়া ২০৬ নম্বর বুথ এলাকায় পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভাব-অভিযোগ শোনেন এবং রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প সঠিকভাবে পৌঁছচ্ছে কিনা, তা যাচাই করেন। তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় সূত্র মারফত জানাগিয়েছে, মূলত লক্ষ্মীর ভান্ডার, কন্যাশ্রী, যুবশ্রী, খাদ্যসাথী এবং স্বাস্থ্যসাথী সহ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মানবিক প্রকল্পগুলি সাধারণ মানুষ পাচ্ছেন কি না, তা সরেজমিনে দেখতে ও শুনতে এই কর্মসূচি নেওয়া হয়।
এলাকাবাসীরা জানান, তাঁরা প্রকল্পগুলি ঠিকঠাক পাচ্ছেন এবং এইসব উদ্যোগ তাঁদের জীবনে বড় পরিবর্তন এনেছে। “মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া ভাতা এবং স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড আমাদের অনেক কাজে লেগেছে। আমরা সবাই চাই, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবার মুখ্যমন্ত্রী হন,” – বলেন সাহাজাদাপুরের এক প্রবীণ বাসিন্দা। আর এদিন এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন সাহাজাদাপুর অঞ্চল সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি ওয়াহিদ মোল্লা, মহিলা সভানেত্রী শাহানারা পাইক, যুব সভাপতি জয়নাল শিকারি, জয় হিন্দ বাহিনীর সভাপতি সঞ্জয় বায়েন, এনটিইউসি সভাপতি রহমান লস্কর, অঞ্চল উপপ্রধান পান্নালাল বৈদ্য, পঞ্চায়েত সদস্য ও প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর হোসেন মোল্লা, গিয়াস খান, আব্দুল্লাহ সরদার, সেলিম মোল্লা, কালাম শেখ, এবং আরও অনেক তৃণমূল নেতৃত্ব ও কর্মীবৃন্দ। আর এদিনের এই কর্মসূচি সম্পর্কে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে, “চলো গ্রামে যাই” কর্মসূচির মাধ্যমে মানুষের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ তৈরি করে আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়াই লক্ষ্য। দলের মতে, এই ধরনের জনসংযোগমূলক কর্মসূচি আগামী দিনেও আরও বিস্তৃত হবে।