বিশ্বজিৎ নস্কর, বারুইপুর : রোজগারের পথে বারবার প্রশাসনিক বাধা—এই অভিযোগকে সামনে রেখে বারুইপুরে ডেপুটেশন দিলেন টোটো চালকরা। শুক্রবার বারুইপুর থানার অন্তর্গত গ্রাম পঞ্চায়েত ও পৌরসভা এলাকার অসংখ্য টোটোচালক একজোট হয়ে স্মারকলিপি জমা দিলেন বারুইপুর থানা ও মহকুমা শাসকের দপ্তরে। এদিনের এই কর্মসূচির আয়োজক ছিল টোটোরিক্সা অপারেটার্স ইউনিয়ন, বারুইপুর ইউনিট কমিটি।
টোটো চালকদের অভিযোগ, তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে এই অঞ্চলে টোটো চালিয়ে পরিবার চালাচ্ছেন। কিন্তু হঠাৎ করেই বারুইপুর মেন রোডে টোটো চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে প্রশাসন। এর ফলে অনেক টোটো চালক রোজগারের পথ হারিয়ে বিপাকে পড়েছেন। এমন কি এই নিষেধাজ্ঞার ফলে অনেক পরিবার আর্থিক সংকটে পড়েছে। তাই তাঁরা চান স্থায়ী সমাধান এবং সম্মানের সঙ্গে রোজগারের অধিকার। এই বিষয়ে প্রশাসনের তরফে দ্রুত হস্তক্ষেপ না হলে আন্দোলনের রাস্তায় নামার ইঙ্গিত দিয়েছেন ঐ সংগঠনের নেতারা। সেই মতো এদিন টোটোরিক্সা অপারেটার্স ইউনিয়ন, বারুইপুর ইউনিট কমিটির পক্ষ থেকে সম্পাদক আকবর হোসেন, সভাপতি অলোক নস্কর, লাহেক আলি, ঘনশ্যাম অধিকারী ও হাসান মোল্লা উপস্থিত ছিলেন এবং প্রশাসনের হাতে দাবিপত্র তুলে দেন।
আর টোটো চালকদের এদিনের এই দাবি পত্রে তাদের মূলত দাবি ছিল বারুইপুরের মেন বাস্তায় টোটো চালাতে প্রশাসনের নিকট একে বাধা দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কোন প্রকার বাধা দেওয়া বন্ধ করতে হবে, যাতে জানজট না হয় তার জন্য প্রশাসনের নির্দেশ পালন করতে বাধ্য থাকিব। সেই সঙ্গে অবিলম্বে বারুইপুরের সমস্ত রাস্তায় ই রিক্সা টোটো চলাচলের ব্যবস্থা করতে হবে এবং ই-রিক্সার জন্য লাইসেন্স দিতে হবে। এবং সকল ই-রিক্সা টোটোকে নাম্বারিংয়ের ব্যাবস্থ্য সরকার কেই করতে হবে ও রাস্তার জানজট মুক্ত করতে সর্বস্তরের পরিবহন শ্রমিকদের সঙ্গে নিয়ে আলোচনায় বসার ব্যবস্থার মাধ্যমে সমাধান করার দায়িত্ব প্রশাসন কে নিতে হবে, এবং কেউ ট্রাফিক আইন অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে কঠর ব্যবস্থা প্রশাসনকে নিতে হবে।আর এই দাবিদাওয়া ঘিরে বারুইপুরের পরিবহন ব্যবস্থা চাপে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে। তবে এখনও পর্যন্ত প্রশাসনের তরফে কোনও সরকারি প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।