আবারও রক্তাক্ত বাসন্তী ! এবার ঘুমন্ত দম্পতিকে ধারালো অস্ত্রের কোপে আতঙ্ক ।
নুরসেলিম লস্কর, বাসন্তী : শুক্রবার সকালের বাসন্তীর আমঝাড়া এলাকায় এক সিভিক ভলেন্টিয়ারের হাতে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে রক্ত ঝরেছিল এক নার্সিং কলেজের ছাত্রীর ও তার ভাইয়ের। আর সেই ঘটনার রেস কাটতে না কাটতেই আবারও এদিন গভীর রাতে রক্তাক্ত হওয়ার ঘটনায় আবারও কেঁপে উঠল দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তী সেই আমঝাড়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা। এবারে আক্রান্ত হলেন এক দম্পতি। রাত প্রায় ১১টা নাগাদ ঘরের মধ্যে ঘুমন্ত অবস্থায় ঐ দম্পতির ওপর নেমে আসে দুঃস্বপ্ন। অভিযোগ, তালদা শিকারী পাড়ার বাসিন্দা চিন্তামণি পুরকাইত নামের এক যুবক কুড়ুল হাতে হঠাৎ ঘরে ঢুকে দম্পতির উপর এলোপাথাড়ি কোপ মারতে শুরু করে। মুহূর্তে রক্তাক্ত হয়ে পড়েন তপন মণ্ডল ও তাঁর স্ত্রী প্রতিমা মণ্ডল। তখন দম্পতির চিৎকারে ঘুম ভাঙে প্রতিবেশীদের। তারা ছুটে এসে অভিযুক্তকে ধরে ফেলে এবং পুলিশের হাতে তুলে দেয়। অপরদিকে গুরুতর জখম দম্পতিকে তড়িঘড়ি উদ্ধার করে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে কলকাতার চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত চিন্তামণি গত কয়েকদিন ধরে অস্বাভাবিক আচরণ করছিল। এলাকায় যাকে-তাকে মারার হুমকি দিচ্ছিল এবং মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন আচরণ করছিল। শুক্রবার রাতে আচমকাই মণ্ডল দম্পতির বাড়িতে চড়াও হয় এবং কুড়ুল দিয়ে হামলা চালায়। প্রতিবেশী মহাদেব গায়েন বলেন, “চিন্তামণি বহুদিন ধরেই উদভ্রান্তের মতো ঘুরে বেড়াচ্ছিল। কারও সঙ্গে অকারণে ঝগড়া করছিল, হুমকি দিচ্ছিল। কিন্তু এভাবে দম্পতির ওপর চড়াও হবে, সেটা ভাবিনি। আমরা তাকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছি।”
আর এই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটার পরে তদন্তে নেমেছে বাসন্তী থানার পুলিশ। কেন অভিযুক্ত এমন ভয়ঙ্কর কাণ্ড ঘটাল, তার পিছনে মানসিক বিকার নাকি অন্য কোনো কারণ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে এলাকায় একের পর এক এমন রক্তাক্ত ঘটনা ঘটার পর থেকে আতঙ্ক ছড়িয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।সেই সঙ্গে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিয়েও ।