শুভেন্দু অধিকারীর উপর হামলার প্রতিবাদে বিজেপির অবস্থান বিক্ষোভ ।

শুভেন্দু অধিকারীর উপর হামলার প্রতিবাদে বিজেপির অবস্থান বিক্ষোভ ।

নিজেস্ব প্রতিনিধি, ক্যানিং : রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর উপর কোচবিহারে হওয়া হামলার প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠল রাজপথ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জয়নগর সাংগঠনিক জেলার বিজেপি নেতৃত্ব ক্যানিং-এ টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করে অবস্থান বিক্ষোভ করেন। আর রাস্তা অবরোধের জেরে ক্যানিং-গোলাবাড়ি, গদখালি-ক্যানিং,চুনাখালী- ক্যানিং,ঝড়খালি-ক্যানিং সহ ক্যানিং-বারুইপুর রোডের যান-চলাচল সাময়িক ভাবে বন্ধ হয়ে পড়ে। সেই সঙ্গে ক্যানিং হাসপাতাল মোড়ে বিক্ষোভস্থলে বিজেপি কর্মীরা স্লোগানে স্লোগানে প্রতিবাদ জানান। ‘জুতো মারো তালে তালে, উদয়ন গুহ’র গালে গালে’—এই ধরণের কটাক্ষ স্লোগানে রাজ্য সরকারের পুলিশমন্ত্রী এবং উদয়ন গুহকে অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি ওঠে। তাঁদের হুঁশিয়ারি, দোষীদের গ্রেফতার না করা হলে গোটা বাংলা অচল করে দেওয়া হবে!এদিন ক্যানিং বাসস্ট্যান্ড থেকে মিছিল করে বিজেপি কর্মীরা অবস্থান বিক্ষোভে অংশ নেন। আর এদিনের এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বিজেপির জেলা নেতৃত্বের পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দিতে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি নেতা স্বপন বৈদ্য, বিকাশ সরদার, পবিত্র পাত্র, সমীর মণ্ডল, সঞ্জয় নায়েক, অসিত মণ্ডল, প্রশান্ত বায়েন প্রমুখ।
     প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার কোচবিহারে বিরোধী দলনেতার এসপি অফিস অভিযান কর্মসূচি চলাকালীন নিউ কোচবিহার স্টেশন চত্বরে কালো পতাকা নিয়ে জমায়েত করেন তৃণমূল কর্মীরা। শুভেন্দুর কনভয় খাগড়াবাড়ি রোডে ঢোকার আগেই বিক্ষোভে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। পরে ইটবৃষ্টি ও লাঠিচার্জের মাধ্যমে কনভয়ের একাধিক গাড়ি ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। আর এ প্রসঙ্গে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেন, “পাথর ছুড়ে আমার গাড়ির পিছনের কাঁচ ভেঙে দেওয়া হয়। এটা তো সাধারণ হামলা নয়, মেরে ফেলার উদ্দেশ্যেই হামলা চালানো হয়েছে। যদি বুলেটপ্রুফ গাড়ি না থাকত, আজ হয়তো বেঁচে থাকতাম না।” সেই সঙ্গে তিনি সবচেয়ে বিস্ফোরকভাবে  দাবি করেন যে, “এই হামলার নেপথ্যে বাংলাদেশের দুই জঙ্গি সংগঠনের সক্রিয় ভূমিকা রয়েছে।” তবে এই ঘটনার পরে তড়িঘড়ি তাঁর নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবী অনীশ মুখোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব ও ডিজিপিকে আদালতের নির্দেশ কার্যকর করতে চিঠি দিয়েছেন।আর রাজ্য প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিজেপির অভিযোগ, জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও বিরোধী দলনেতার নিরাপত্তায় চূড়ান্ত গাফিলতি করেছে রাজ্য পুলিশ। তাঁদের প্রশ্ন, “একজন জেড ক্যাটাগরি নিরাপত্তা প্রাপ্ত ব্যক্তি গেলে কীভাবে তৃণমূল কর্মীরা চারপাশে জমায়েত করে বিক্ষোভ দেখায়? পুলিশ কি নিঃক্রিয় ছিল?” আর এই ঘটনায় রাজ্যজুড়ে বিজেপি নেতৃত্ব আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতার না করা হলে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক আসতে পারে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল!

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন