অতিবৃষ্টিতে জলমগ্ন সোনারপুর–বারুইপুর । পরিস্থিতি মোকাবিলায় পাম্পিং স্টেশনে প্রাক্তন সেচ মন্ত্রী ।

অতিবৃষ্টিতে জলমগ্ন সোনারপুর–বারুইপুর । পরিস্থিতি মোকাবিলায় পাম্পিং স্টেশনে প্রাক্তন সেচ মন্ত্রী ।

নুরসেলিম লস্কর, ক্যানিং : দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুর ও বারুইপুর ব্লকের বিস্তীর্ণ অঞ্চল গত কয়েক দিনের টানা ভারী বর্ষণে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। রাজপুর-সোনারপুর পৌরসভার ৩৩টি ওয়ার্ড এবং ১১টি গ্রাম পঞ্চায়েতের অধিকাংশ এলাকায় জমেছে বৃষ্টির জল। সেই সঙ্গে বারুইপুর ব্লকের একাধিক গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাও বিপর্যস্ত অবস্থায় রয়েছে। এই জলাবদ্ধতার পরিস্থিতি থেকে সাধারণ মানুষকে দ্রুত স্বস্তি দিতে দিনরাত এক করে কাজ করে চলেছে উত্তরভাগ পাম্পিং স্টেশন। জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকারের সেচ দপ্তরের অধীনে থাকা এই পাম্পিং স্টেশনের ১৬টি পাম্প মেশিনের মধ্যে ১২টি মেশিন ২৪ ঘণ্টা চালু রেখে জল সেচের কাজ চলছে। জমা জল সোনারপুর ও বারুইপুরের বিভিন্ন নিকাশি খালের মাধ্যমে এই পাম্পিং স্টেশনে এসে পিয়ালী নদীতে পাস করানো হচ্ছে।আর এই পরিস্থিতির তীব্রতা বিবেচনা করে বুধবার উত্তরভাগ পাম্পিং স্টেশন পরিদর্শনে আসেন রাজ্যের প্রাক্তন সেচমন্ত্রী ও বর্তমান বাসন্তী বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল। তাঁর সঙ্গে ছিলেন সেচ দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ার ও অন্যান্য আধিকারিকরা। তাঁরা জলমগ্ন এলাকাগুলি ঘুরে দেখেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।
   আর এদিন এই ভয়ংকর জলমগ্ন পরিস্থিতি সম্পর্কে শ্যামল মণ্ডল জানান, “জলযন্ত্রণা থেকে মানুষকে স্বস্তি দিতে পাম্পিং স্টেশনের কর্মীরা নিরলস পরিশ্রম করছেন। প্রয়োজন হলে অতিরিক্ত মেশিন চালুর ব্যবস্থা করা হবে। বৃষ্টি কমলেই দ্রুত জল সরানো সম্ভব হবে।” প্রসঙ্গত, প্রতিবছরই বর্ষাকালে এই সমস্ত অঞ্চলে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। তবে এবার সেচ দপ্তরের আগাম প্রস্তুতি ও দ্রুত পদক্ষেপে সমস্যা কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে দাবি প্রশাসনের। আর এখন স্থানীয় বাসিন্দাদের একটাই আশা—দ্রুত জল নেমে গেলে স্বাভাবিক জীবনে ফিরবে গোটা এলাকা।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন