পূর্ব - বর্ধমানের নিলুফা ইয়াসমিনকে সম্বর্ধনা জানাল দক্ষিণ ২৪ পরগনার 'মানবতা'।

পূর্ব - বর্ধমানের নিলুফা ইয়াসমিনকে সম্বর্ধনা জানাল দক্ষিণ ২৪ পরগনার 'মানবতা'। 

বাইজিদ মন্ডল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা : বাংলা সাহিত্যে সর্বভারতীয় স্তরে প্রথম স্থান অধিকার করে ইতিহাস রচনা করেছেন পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়ার কেশিয়া পাড়ার কৃতি ছাত্রী নিলুফা ইয়াসমিন। ২০২৫ সালের ইউজিসি-নেট জেআরএফ (UGC NET-JRF) পরীক্ষায় বাংলা বিষয়ে ১০০ পার্সেন্টাইল নম্বর পেয়ে তিনি দেশের মধ্যে ১ম স্থান অর্জন করেছেন। তাঁর এই সাফল্যে গর্বিত গোটা রাজ্য। আর এই অসামান্য কৃতিত্বের জন্য নিলুফাকে আজ সম্বর্ধনা জানাল দক্ষিণ ২৪ পরগনার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন 'মানবতা'।সংগঠনের একটি প্রতিনিধি দল তাঁর নিজ বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার কেশিয়া পাড়ায় গিয়ে তাঁকে পুষ্পস্তবক, উত্তরীয় ও ব্যাজ প্রদান করে সম্মান জানায়।আর এদিনের এই সংবর্ধনা প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন— মানবতা সংস্থার সদস্য মোঃ জাহির উদ্দীন সেখ, কামাল উদ্দীন সেখ, সমাজসেবক তোরন সেখ, শিক্ষক রণেশ দত্ত, ওয়েস্ট বেঙ্গল ব্লাড ডোনার্স ফোরামের জয়দেব দত্ত, সমাজসেবক মকু সেখ, বাসন্তী পত্র ধর, সৌমিত্র পন্ডিত প্রমুখ।

      উল্লেখ্য, নিলুফা ইয়াসমিনের বাবা মোল্লা মহম্মদ বিল্লাল পদার্থবিদ্যার শিক্ষক এবং মা রওশনারা খাতুন একজন শিক্ষিকা। ছোট থেকেই পড়াশোনায় মেধাবী নিলুফা স্কুল থেকে কলেজ সর্বত্রই শীর্ষস্থান অধিকার করেছেন। স্নাতকোত্তরে তৃতীয় স্থান পাওয়ার পর এবার দেশের মধ্যে প্রথম হয়ে নজির গড়েছেন তিনি। বর্তমানে তিনি বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে “পদাবলি এবং বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর সঙ্গীতের প্রভাব” নিয়ে পিএইচডি করছেন। বাংলা বিষয়ে ৩,৬৮৪ জন প্রার্থীর মধ্যে সবার শীর্ষে উঠে নিলুফা প্রমাণ করেছেন— কঠোর পরিশ্রম, আত্মবিশ্বাস ও অধ্যবসায়ের মাধ্যমে সাফল্য অর্জন সম্ভব। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ১০০ পার্সেন্টাইল, যা বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের মর্যাদাকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে। ফল প্রকাশের পর নিলুফা জানিয়েছেন— তাঁর এই সাফল্যের পেছনে পরিবারের অনুপ্রেরণা ও সহযাত্রীদের অকুণ্ঠ সমর্থন রয়েছে। এর আগে দু’বার পরীক্ষায় বসেও জেআরএফ অর্জন করতে পারেননি, কিন্তু হাল না ছেড়ে অধ্যবসায়ের জোরেই তিনি শীর্ষস্থান দখল করেন।

   আর এদিনের এই সংবর্ধনা বিষয়ে জানতে চাইলে মানবতার সাধারণ সম্পাদক জুলফিকার আলি পিয়াদা জানান যে, নিলুফার মতো প্রতিভা বাংলার গৌরব। তাঁকে এবং আরবী বিষয়ে দেশের সেরা হওয়া হুগলির মুফতি মোহাম্মদ শফিউল্লাহ-কে ১৪ আগস্ট কলকাতায় সম্বর্ধনা জানানোর পরিকল্পনা থাকলেও ব্যস্ততার কারণে নিলুফা উপস্থিত থাকতে না পারায় তাঁর বাড়িতেই সম্বর্ধনা দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে তিনি আরো বলেন যে, নিলুফা ইয়াসমিনের এই অর্জন কেবল বাংলার গর্ব নয়, আগামী প্রজন্ম বিশেষত নারীদের কাছে হয়ে উঠবে অনুপ্রেরণার প্রতীক। মানবতা সংস্থা ও স্থানীয়রা আশা প্রকাশ করেছেন— ভবিষ্যতে তিনি দেশ ও জাতির সেবায় আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন।'

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন