ওয়াহিদ লস্কর: ক্যানিং সাপের কামড় খেয়ে জীবন্ত কেউটে সাপ নিয়ে হাসপাতালে হাজীর হলেন বছর পঁচাত্তর বয়সের এক বৃদ্ধ। বর্তমানে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে ক্যানিংয়ের মাতলা ২ পঞ্চায়েতের বাহিরবেনা গ্রামের বাসিন্দা মোসারফ লস্কর। তাঁর স্নানের ঘরে একটি কেউটে সাপ ঢুকে ছিল। রবিবার রাতে স্নান ঘরে ঢুকেছিলেন হাত মুখ ধোওয়ার জন্য। স্নান ঘরে ঢুকতেই ফোঁস ফোঁস আওয়াজ শুনতে পান। লাইট জ্বালতেই নজরে পড়ে সাক্ষাৎ যম দূত।ভয়ে দরজা বন্ধ করে বাইরে বেরিয়ে আসেন মোসারফ। তিনি স্থানীয় প্রতিবেশী বছর পঁচাত্তর বয়সের সত্য মন্ডল কে খবর দেন সাপ ধরার জন্য। সত্য মন্ডল দীর্ঘ প্রায় পঞ্চাশ বছরের অধিক সময় সাপ উদ্ধারের কাজ করছেন।
সত্যবাবু তড়িঘড়ি হাজীর হন মোসারফ হোসেনের বাড়িতে। সেখানে কেউটে সাপটি ধরে ফেলেন। এরপর সাপটি কৌটোর মধ্যে রাখতে গিয়ে অসাবধান বশত সাপের একটি দাঁত ফুটে যায় তাঁর হাতে। স্থানীয়রা জীবন্ত সাপ সহ চিকিৎসার জন্য বৃদ্ধ কে নিয়ে তড়িঘড়ি হাজীর হয় ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ প্রিয়াঙ্কা দেববর্মন ও দুই নার্স পিংকি পারভীন ও দোয়েল মাইতি তড়িঘড়ি চিকিৎসা শুরু করেন। বৃদ্ধকে সাপে কামড়ানো প্রতিষেধক ৩০ টি এডিএস দেওয়া হয়। বৃদ্ধ সত্য মন্ডল জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে সাপ উদ্ধারের কাজ করছি। অসুবিধা হয়নি। এদিন অসাবধান বশতঃ সাপের দাঁত ফুটে যায়। মোসারফ হোসেন জানিয়েছেন, বৃদ্ধ সত্য মন্ডল দীর্ঘদিন ধরে সাপ উদ্ধারের কাজ করে আসছেন। এদিন আমার বাড়িতে কেউটে সাপ উদ্ধার করার সময় তাঁর হাতে সাপের একটি দাঁত ফুটে যায়। আমরা জীবন্ত সাপ সহ বৃদ্ধ কে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাই চিকিৎসার জন্য।
ঘটনা প্রসঙ্গে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের সর্প বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডাঃ সমরেন্দ্র নাথ রায় জানিয়েছে, বৃদ্ধকে ৩০ টি এভিএস দেওয়া হয়েছে।তবে সাধারণের উদ্দেশ্যে বলবো, সাপ ধরে কিংবা মেরে কেউ হাসপাতালে আনবেন না। কারণ চিকিৎসকরা অভিঞ্জ।তাছাড়া সাপ ধরতে গেলে পুনরায় কামড় দিতে পারে। সেক্ষেত্রে বিপদ বেড়ে যেতে পারে।সাপে কামড় দিলেই রোগীকে নিকটবর্তী সরকারী চিকিৎসা কেন্দ্রে জরুরী ভিত্তিতে নিয়ে গেলেই হবে।