গোসাবাতে সবুজ ঝড়! সমবায় নির্বাচনে তৃণমূলের দশে দশ।
নিজস্ব প্রতিনিধি , গোসাবা : রাজনৈতিক জমিতে ফের শক্ত ভিত গড়ল তৃণমূল কংগ্রেস। গোসাবা ব্লকের রাঙাবেলিয়া বাগ বাগান কৃষি সমবায় সমিতির নির্বাচনে একতরফা জয়ের স্বাদ পেল শাসকদল। মঙ্গলবার প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়, কোনও প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়াই তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা সমবায়ের সমস্ত ১০টি আসনে জয়ী হয়েছেন। বাম এবং বিজেপির পক্ষ থেকে কেউ প্রার্থী না দেওয়ায় ভোটগ্রহণের প্রয়োজনই পড়েনি। একসময় বামফ্রন্টের শক্ত ঘাঁটি ছিল এই কৃষি সমবায় সমিতি। পরে বিজেপির দখলে যায় এই অঞ্চল। কিন্তু এবারে সেই ইতিহাস ভেঙে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ চলে এল তৃণমূল কংগ্রেসের হাতে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিরোধীদের এই অনুপস্থিতি রাজনীতিতে তাদের সাংগঠনিক দুর্বলতাকেই স্পষ্ট করে তোলে।
এই ঐতিহাসিক জয়ের পর প্রতিক্রিয়া জানিয়ে জেলা পরিষদের উপাধ্যক্ষ অনিমেষ মণ্ডল বলেন,"দীর্ঘদিন ধরে এই সমবায় সমিতি ছিল বাম এবং পরে বিজেপির নিয়ন্ত্রণে। এই প্রথমবার তৃণমূলের প্রার্থীরা জয়ী হয়ে দায়িত্বে আসছেন। প্রয়াত বিধায়ক জয়ন্ত নস্করের দেখানো উন্নয়নের পথ এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুন্দরবন-কেন্দ্রিক উন্নয়নমূলক কাজ এই জয়ের মূল ভিত্তি। আমরা এই পথেই আগামী দিনে এগিয়ে চলব।" স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের মতে, গ্রামীণ কৃষিক্ষেত্রে সরকার যে পরিকাঠামো ও আর্থিক সহায়তা দিয়েছে, তার ফলেই সাধারণ মানুষের মধ্যে তৃণমূলের প্রতি আস্থা বেড়েছে।
তবে বিরোধীদের এই 'বেপাত্তা' হয়ে যাওয়া নিয়ে রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বিশেষ করে রাজ্যের পরবর্তী বিধানসভা নির্বাচন (২০২৬) এর প্রেক্ষাপটে এই একতরফা জয় বিরোধীদের রাজনৈতিক শক্তি ও প্রস্তুতি নিয়ে বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন তুলছে। আর তৃণমূল কংগ্রেসের এই সাফল্য শুধু একটি সমবায় সমিতির জয় নয়— এটা রাজ্য রাজনীতিতে শাসক দলের সংগঠনিক দাপট ও জনভিত্তির আরেকটি প্রমাণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আগামী দিনে এই জয় দলকে আরও বেশি আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে বলেও মত তৃণমূল শিবিরের।