৭২ ঘণ্টায় রহস্যভেদ,জীবনতলার চুরির ঘটনার গ্রেপ্তার যুবক, উদ্ধার চুরি যাওয়া সামগ্রী!

৭২ ঘণ্টায় রহস্যভেদ,জীবনতলার চুরির ঘটনার গ্রেপ্তার যুবক, উদ্ধার চুরি যাওয়া সামগ্রী !

নিজেস্ব প্রতিনিধি, জীবনতলা: জীবনতলায় চুরির ঘটনায় পুলিশের তৎপরতায় গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জীবনতলা থানার অধীনস্থ এলাকায় চুরির অভিযোগের মাত্র ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। একইসঙ্গে চুরি যাওয়া পিতলের বাসনপত্র, পুজোর সামগ্রী সহ বেশ কিছু জিনিসপত্র উদ্ধারও করা হয়েছে। অভিযুক্তের নাম রাহুল জয়সওয়াল। ঘটনাটি ঘটেছিল গত ১৩ জুলাই। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দিন জীবনতলা থানার বাসিন্দা নিমাই নস্করের বাড়িতে রাতে চুরি হয়। চোরেরা ঘরের তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে পিতলের বাসন, পুজোর সামগ্রী, মূল্যবান সামগ্রী সহ অন্যান্য জিনিসপত্র নিয়ে চম্পট দেয়। পরদিন সকালে নিমাইবাবু জীবনতলা থানায় লিখিতভাবে অভিযোগ জানান। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির নির্দিষ্ট ধারায় একটি মামলা রুজু করে তদন্তে নামে। আর এই মামলার তদন্তভার পান জীবনতলা থানার এএসআই অভিজিৎ মাঝি। তদন্তে নেমে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং এলাকার বিভিন্ন সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেন। স্থানীয়দের কাছ থেকেও পুলিশ গুরুত্বপূর্ণ সূত্র পায়। এরপরই গোপন সূত্র মারফত খবর আসে, দক্ষিণ মাখালতলা এলাকায় এক যুবক সম্প্রতি বেশ কিছু পুরোনো পিতলের সামগ্রী বিক্রির চেষ্টা করছে। পুলিশ সেই সূত্র ধরে দ্রুত অভিযান চালিয়ে দক্ষিণ মাখালতলা এলাকা থেকে রাহুল জয়সওয়াল নামক এক সন্দেহভাজন যুবককে আটক করে। প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের পর সে চুরির ঘটনা স্বীকার করে। তার দেখানো জায়গা থেকেই পুলিশ নিমাই নস্করের বাড়ি থেকে চুরি যাওয়া বেশ কিছু সামগ্রী উদ্ধার করে। এর মধ্যে রয়েছে পিতলের বাসনপত্র, পুজোর মূর্তি ও সামগ্রী, একটি ধাতব প্রদীপ এবং কয়েকটি প্রাচীন হস্তশিল্প সামগ্রী।
   এই ঘটনায় রাহুলের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পেশ করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর, এই ঘটনার সঙ্গে রাহুল একাই জড়িত ছিল, নাকি এর পেছনে কোনো চক্র রয়েছে, তা জানার চেষ্টা চলছে। আর পুলিশের এই সাফল্যে গোটা এলাকায় এলাকাবাসীর মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। জীবনতলা থানার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, "চুরির অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা দ্রুত তদন্ত শুরু করি। অভিযুক্তকে শনাক্ত করে দ্রুততার সঙ্গে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে। তদন্ত এখনো চলছে, প্রয়োজনে আরও জিজ্ঞাসাবাদ হবে।" আর পুলিশের এই তৎপরতায় এলাকাবাসীর মধ্যে প্রশংসার সুর শোনা যাচ্ছে। পাশাপাশি তাঁরা এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করার আবেদন জানিয়েছেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন