খাবারের প্রলোভন দেখিয়ে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে লাগাতার ধর্ষণ, আটক ৭২ বছরের বৃদ্ধ।
নিজস্ব প্রতিনিধি, ক্যানিং: খাবারের প্রলোভনে চতুর্থ শ্রেণির এক নাবালিকা ছাত্রীকে দিনের পর দিন ধর্ষণের অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়াল দক্ষিণ ২৪ পরগনার গৌড়দহে। অভিযোগের তির ৭২ বছরের এক বৃদ্ধের বিরুদ্ধে। ধৃতের নাম কৃষ্ণপদ মন্ডল। ঘটনায় এলাকায় প্রবল উত্তেজনা ছড়িয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে জীবনতলা থানার ঘুটিয়ারী শরীফ ফাঁড়ির অধীনস্থ গৌড়দহ এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর ১১-র ওই নাবালিকার বাবা এক বছর আগে মারা গিয়েছেন। মা অন্যত্র থাকায় সে থাকত আত্মীয়দের বাড়িতে। স্থানীয় স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী সে। প্রতিদিন সকালে খাবার কিনতে পাড়ার এক দোকানে যেত মেয়েটি। সেই দোকানেই কর্মরত ছিল বৃদ্ধ কৃষ্ণপদ মন্ডল। অভিযোগ, খাবারের লোভ দেখিয়ে ওই বৃদ্ধ প্রায় এক বছর ধরে দোকানের ভিতর মেয়েটিকে ধর্ষণ করত। বুধবার সকালে ফের একইভাবে নির্যাতনের পর মেয়েটি দেরিতে বাড়ি ফেরে। সন্দেহ হলে এক আত্মীয় দোকানে গিয়ে তাকে উদ্ভ্রান্ত অবস্থায় দেখতে পান। পোশাক ছিল অগোছালো। জিজ্ঞাসাবাদে প্রথমে ভয় পেলেও পরে মেয়েটি সব কথা খুলে বলে। অভিযুক্ত বৃদ্ধ ততক্ষণে দোকান বন্ধ করে পালিয়ে যায় গৌড়দহ স্টেশনের দিকে। তবে খবর চাউর হতেই স্থানীয়রা স্টেশনে গিয়ে তাকে ধরে ফেলে এবং উত্তেজিত জনতা উত্তম-মধ্যম দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।পরিবারের তরফে জীবনতলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ধৃতকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।
স্থানীয় সমাজসেবী ও শিক্ষক সমীর মন্ডল বলেন, “এ এক সমাজের অধঃপতনের চিত্র। এমন ঘৃণ্য কাজ বরদাস্ত করা যায় না। পুলিশ প্রশাসনকে কঠোর ভূমিকা নিতে হবে।” আর এবিষয়ে বিজেপির ক্যানিং পশ্চিম ৪ নম্বর মন্ডলের সভাপতি দেবাশীষ রায় বলেন, “এক অনাথ শিশুর উপর এমন পাশবিক নির্যাতন অত্যন্ত নিন্দনীয়। অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।” স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, অভিযুক্ত বৃদ্ধের বিরুদ্ধে এর আগেও নিজের পরিবারে একই ধরনের আচরণের অভিযোগ ছিল।