কুলতলির মৎস্যজীবীদের জালে ধরা পড়ল বিশালাকার মার্লিন মাছ, এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্য !

কুলতলির মৎস্যজীবীদের জালে ধরা পড়ল বিশালাকার মার্লিন মাছ, এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্য !

নুরসেলিম লস্কর, কুলতলি : গভীর সমুদ্রের এক দুর্লভ অতিথি এসে ধরা দিল কুলতলির উপকূলে। বিশালাকার একটি মার্লিন মাছ ধরা পড়েছে কুলতলির একদল মৎস্যজীবীর জালে। মাছটি প্রায় ৮ ফুট লম্বা এবং ওজন প্রায় ৫৫ কেজি। এমন বিরল দৃশ্য দেখতে বুধবার সকাল থেকেই কাঁটামারি জেটিঘাটে ভিড় জমায় উৎসুক জনতা। মাছটি ধরার পর কুলতলির কাঁটামারি জেটিঘাটে আনা হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এর আগে এত বড় ও বিরল প্রজাতির মাছ তাঁরা দেখেননি। অনেকে মোবাইলে ভিডিও ও ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। অনেকেই বলেন, জীবনে এই প্রথম এমন মাছ দেখলেন।
    মৎস্যজীবীরা জানিয়েছেন, এত বড় মার্লিন মাছ তাঁরা এই অঞ্চলে আগে কখনও পাননি। মাছটি দুই-তিনজন মিলে টেনে আনতে হয়েছে ঘাটে। বিশালাকার এই সামুদ্রিক মাছটি কলকাতার বাজারে বিক্রির জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বাজার বিশেষজ্ঞদের অনুমান, মাছটির আনুমানিক মূল্য কয়েক লক্ষ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। বিজ্ঞানসম্মতভাবে মার্লিন মাছ পরিচিত বিশ্বের দ্রুততম সামুদ্রিক প্রাণী হিসেবে। এটি ঘণ্টায় প্রায় ৮০ থেকে ৯০ কিলোমিটার গতিতে সাঁতার কাটতে সক্ষম। সাধারণত উষ্ণ সমুদ্রের গভীরে এদের বাস। পরিবেশবিদদের মতে, সাম্প্রতিক সময়ে উষ্ণ জলবায়ু পরিবর্তন ও খাদ্যসংকটের জেরে এরা উপকূলবর্তী নদীতে চলে আসছে।

      স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সাধারণত এই ধরনের মাছ গভীর সমুদ্রে দেখা গেলেও উপকূল ঘেঁষা নদীতে ধরা পড়া একেবারেই বিরল। এই ঘটনায় কুলতলি ও সংলগ্ন এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। আর এবিষয়ে পরিবেশবিদদের মতামত , এমন ঘটনা জলবায়ু পরিবর্তনের এক বিপজ্জনক বার্তা বহন করছে। গভীর সমুদ্রের বাসিন্দা যখন উপকূলের জলসীমায় এসে পড়ে, তখন তা প্রকৃতির ভারসাম্য নিয়ে প্রশ্ন তোলে। মাছটি যেমন কৌতূহল সৃষ্টি করেছে, তেমনি চিন্তাও জাগিয়েছে—আমাদের চারপাশের প্রকৃতি কি বদলে যাচ্ছে?

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন