প্রশাসনকে অপমান? বিধায়কের কুরুচিকর ভাষায় তোলপাড় জয়নগর!

প্রশাসনকে অপমান? বিধায়কের কুরুচিকর ভাষায় তোলপাড় জয়নগর!

নুরসেলিম লস্কর, জয়নগর : প্রশাসনকে প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে ‘কুরুচিকর ভাষায়’ আক্রমণ করে তীব্র বিতর্কে জড়ালেন জয়নগরের তৃণমূল বিধায়ক বিশ্বনাথ দাস। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বকুলতলা থানার রুপনগর গ্রামে। সেখানকার বেলেদুর্গানগর গ্রামপঞ্চায়েতে রাস্তার উদ্বোধন করতে গিয়েই প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন বিধায়ক, আর সেই বক্তব্যের ভিডিও মুহূর্তে ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে বিধায়ককে প্রশাসন নিয়ে একের পর এক তীব্র মন্তব্য করতে শোনা যায়। অভিযোগ, সেই সময় তিনি ভাষার শালীনতা হারান। আর এক জন জনপ্রতিনিধির মুখে এমন ভাষা শুনে হতবাক সাধারণ মানুষ! দলের অন্দরেও ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। আর এই বিতর্ক থেকে তৃণমূল কংগ্রেস নিজেদের দূরত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছে । তবে জেলা পরিষদের সদস্য তথা তৃণমূল নেতা খাঁন জিয়াউল হক সরাসরি বলেন, “এই ধরনের ভাষা তৃণমূল সমর্থন করে না। একজন শিক্ষক হয়ে তাঁর আরও বেশি দায়িত্বশীল হওয়া উচিত ছিল। এ ধরনের আচরণ শিক্ষকমহল ও দলের মর্যাদার পরিপন্থী।”

       অন্যদিকে, সুযোগ হাতছাড়া করেনি বিজেপি। তীব্র ভাষায় কটাক্ষ করেছেন বিজেপির জয়নগর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি উৎপল নস্কর। তাঁর বক্তব্য, “এক জন শিক্ষক বিধায়ক হয়ে প্রকাশ্যে এমন কুরুচিকর ভাষা ব্যবহার লজ্জার। তাঁর উচিত অবিলম্বে ক্ষমা চাওয়া।” যদিও সমস্ত বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা বিধায়ক বিশ্বনাথ দাস এ বিষয়ে এখনও মুখ খোলেননি। ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও যোগাযোগ করা যায়নি। আরে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাধারণ মানুষের প্রতিক্রিয়া বিভাজিত। কেউ বলছেন, বিধায়ক বাস্তব পরিস্থিতিতে হতাশ হয়েই মুখ খুলেছেন। আবার অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, “রাজনীতির মঞ্চে দায়িত্বজ্ঞানহীনতা কতটা মানায়?” সব মিলিয়ে এই ঘটনা জয়নগরের রাজনৈতিক আবহে যেন আগুনে ঘি ঢেলে দিয়েছে। এক দিকে দল বিব্রত, অন্য দিকে বিরোধীরা চড়া সুরে আক্রমণ শানাচ্ছে— এখন দেখার, কীভাবে এই বিতর্কের জবাব দেন বিধায়ক বিশ্বনাথ দাস। সেদিকে তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল!

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন