ওড়িশায় আবারও বাঙালি হেনস্থা। বাংলাদেশি সন্দেহে আটক রায়দিঘির ১২ পরিযায়ী শ্রমিক। আতঙ্কে পরিবার !

ওড়িশায় আবারও বাঙালি হেনস্থা। বাংলাদেশি সন্দেহে আটক রায়দিঘির ১২ পরিযায়ী শ্রমিক। আতঙ্কে পরিবার !
নিজস্ব সংবাদদাতা, রায়দিঘি : ফের বাংলাদেশি নাগরিক সন্দেহে হেনস্থার মুখে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ। ভিনরাজ্যে রুজিরুটির সন্ধানে গিয়ে এবার চরম হয়রানির শিকার হলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘির ১২ জন পরিযায়ী শ্রমিক। ঘটনাস্থল ওড়িশা। অভিযোগ, গভীর রাতে কাজ সেরে ঘুমন্ত অবস্থায় তাঁদের জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে আটক করে একদল মানুষ, সঙ্গে ছিল স্থানীয় পুলিশও।
    সূত্রের খবর, প্রথমে তাঁদের কাছে পরিচয়পত্র দেখতে চাওয়া হয়। শ্রমিকদের দাবি, আধার কার্ড, ভোটার আইডি, প্যান কার্ড, পাসপোর্ট, জন্ম ও শিক্ষার শংসাপত্র এমনকি পুলিশের ভেরিফিকেশন রিপোর্ট পর্যন্ত দেখানো হলেও, তাতেও রেহাই মেলেনি। বরং তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয় এবং অনেকের কাছ থেকে মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়া হয়। পরে ৭ জনকে ছেড়ে দিলেও বাকিদের ঘন্টার পর ঘন্টা আটকে রাখা হয় অজানা স্থানে। হেনস্থার শিকার পরিযায়ী শ্রমিক মলয় হালদার জানান, "আমরা কখনও ভাবিনি এভাবে আচমকা রাতে তুলে নিয়ে যাওয়া হবে। পরিচয়পত্র দেখানোর পরও আমাদের ছেড়ে দেয়নি। আমরা খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম।" আর এই ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রায়দিঘির বিধায়ক ডঃ অলক জলদাতা। তিনি জানান, "আমি ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের ফিরিয়ে আনতে প্রশাসনিক স্তরে সবরকম চেষ্টা করা হচ্ছে। এটা একেবারেই মেনে নেওয়া যায় না। এটা চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন।"
আর এই ঘটনায় স্থানীয় পুলিশের ভূমিকাও প্রশ্নের মুখে। অভিযোগ, বাংলা ভাষায় কথা বলার কারণে তাঁদের বাংলাদেশি মনে করে এই হেনস্থা। আর পরিযায়ী শ্রমিকদের পরিবারের দাবি, প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষ ভিনরাজ্যে কাজ করতে যান। তাঁদের সঙ্গে এমন আচরণ রীতিমতো ভয়ের পরিবেশ তৈরি করছে। আর এই ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। প্রশাসনের তরফে দ্রুত হস্তক্ষেপ ও দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি উঠেছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন