সরকারি প্রকল্পের টাকা তোলার ফাঁদ ! জীবিত ব্যক্তির নামে ডেথ সার্টিফিকেট জালিয়াতি কুলতলিতে !
নিজস্ব প্রতিনিধি, কুলতলি : জীবিত ব্যক্তিকে মৃত দেখিয়ে সরকারি প্রকল্পের টাকা তুলতে চেষ্টার অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়াল দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলি এলাকায়। অভিযোগ, জীবিত থাকা সত্ত্বেও কুলতলির কুন্দখালি গোদাবর গ্রামের বাসিন্দা সাবানা নস্করের নামে গোপালগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে ডেথ সার্টিফিকেট জারি করা হয়েছে। এই নথির ভিত্তিতে কৃষক বন্ধু প্রকল্পের অধীনে ২ লক্ষ টাকা দাবি করা হয় বলে অভিযোগ। অভিযুক্ত হিসেবে উঠে এসেছে কুলতলির কৃত্তনখোলার বাসিন্দা সাহাদুল লস্করের নাম। অভিযোগ, কৃষক বন্ধু প্রকল্পে ভুয়ো মৃত্যুর তথ্য দিয়ে এককালীন সাহায্যের আবেদন করা হয়। এ ছাড়া, সাবানা নস্করের নামে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা অন্য একটি অ্যাকাউন্টে ঢুকছিল বলেও জানা গিয়েছে। ঘটনার জটিলতা বাড়িয়েছে আরও একটি বিষয়—সাবানার বাবার নাম ও অভিযুক্ত সাহাদুলের বাবার নাম এক হলেও, তদন্তে জানা গিয়েছে দুজনের বাবা আসলে আলাদা। বুথ নম্বরেও রয়েছে পার্থক্য। ঘটনার সূত্রপাত হয়, যখন সাবানার বাবা তাঁর মেয়ের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড শ্বশুরবাড়ির ঠিকানায় ট্রান্সফার করতে গিয়ে জানতে পারেন তাঁর মেয়ের নামে ইতিমধ্যেই ডেথ সার্টিফিকেট ইস্যু হয়েছে! এরপরই তিনি কুলতলি থানায় এবং বিডিও অফিসে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ, বিডিও অফিসে অভিযোগ নিতে প্রথমে গড়িমসি করা হয়।গোপালগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বিমল সরদার বলেন, “এইভাবে ডেথ সার্টিফিকেট দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।” অন্যদিকে, কুলতলির সহকারী কৃষি আধিকারিক সৌরভ পাড়িয়া জানান, “এই ঘটনাটি জেলাপর্যায়ের আধিকারিকদের জানানো হয়েছে এবং তদন্ত চলছে।” পুরো ঘটনাটি নিয়ে কুলতলি ব্লক প্রশাসন ও স্থানীয় পুলিশ তদন্তে নেমেছে। কীভাবে একজন জীবিত ব্যক্তির নামে সরকারি মৃত্যু শংসাপত্র ইস্যু হল এবং তা দিয়ে আর্থিক প্রতারণার চেষ্টা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে সরকারি ব্যবস্থার স্বচ্ছতা নিয়েও।