নাবালিকা নির্যাতনের দুই ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত দুই অভিযুক্ত, ডায়মন্ড হারবার আদালতের রায়ে শাস্তি ২০ ও ১০ বছর

নাবালিকা নির্যাতনের দুই ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত দুই অভিযুক্ত, ডায়মন্ড হারবার আদালতের রায়ে শাস্তি ২০ ও ১০ বছর ।


নিজস্ব প্রতিনিধি, ডায়মন্ড হারবার : উস্তি ও ফলতা এলাকায় নাবালিকা নির্যাতনের দুটি পৃথক ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হল দুই অভিযুক্ত। ডায়মন্ড হারবার সেশন আদালত এক অভিযুক্তকে ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং অপরজনকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছে । প্রথম ঘটনাটি ঘটে এক বছর আগে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফলতা এলাকায়। অভিযোগ, টিউশন পড়তে গিয়ে গৃহশিক্ষিকার অনুপস্থিতিতে পাঁচ নাবালিকা ছাত্রী তাঁর ছেলের দ্বারা যৌন নির্যাতনের শিকার হয়। অভিযুক্ত দীপাঞ্জন মণ্ডল (২২) ভিডিও তুলে ব্ল্যাকমেল করে এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। পরিবারের কাছে ঘটনা প্রকাশ করার পর, নাবালিকাদের পরিবারের তরফে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। তদন্তে নেমে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে এবং দীর্ঘ শুনানির পর আদালত তাকে ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করে । দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটেছিল ১০ বছর আগে, উস্তি এলাকায়। অভিযোগ, মাঠে গরু চড়িয়ে বাড়ি ফেরার সময় এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করে সাইফুদ্দিন মোল্লা ওরফে বাবুলাল। দীর্ঘ তদন্ত এবং বিচার প্রক্রিয়ার পর আদালত ওই অভিযুক্তকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করে। 

 এই প্রসঙ্গে ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিতুন কুমার দে জানান, “নাবালিকা নির্যাতনের মতো অপরাধে পুলিশ কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে। অপরাধীরা কেউই নিস্তার পাবে না। যারা সাহস করে মুখ খুলছে, আমরা তাদের পাশে রয়েছি এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করছি।” উস্তির মামলায় সরকারি আইনজীবী কামাল হোসেন শাহ এবং ফলতার মামলায় আইনজীবী সুদীপ হালদার আদালতে যুক্তি দিয়ে অভিযুক্তদের দোষ প্রমাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন । ডায়মন্ড হারবার আদালতের এই রায়ে ন্যায়বিচার পেল দুই নাবালিকা ও তাঁদের পরিবার। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা রুখতে আরও সক্রিয় ভূমিকা নেবে পুলিশ ও আইন ব্যবস্থা।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন