মফিজুল গাজী, সন্দেশখালি : আবারও পথ দুর্ঘটনা কেড়ে নিল দুই প্রাণ। মঙ্গলবার সকালে উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালি থানার রামপুরহাটের বাগদী পাড়া সংলগ্ন এলাকায় ঘটে গেল ভয়াবহ দুর্ঘটনা। এক টোটো ও একটি যাত্রীবাহী বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দুই ব্যক্তির। গুরুতর জখম হন আরও দুই জন, যাঁদের মধ্যে একজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ক্যানিং মহাকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালেই বাসন্তী থানার নির্দেশখালি এলাকার বাসিন্দা হাসা লস্কর (৪৮), আনসার পিয়াদা (৩৮), মতিয়ার পিয়াদা ও ভোলা লস্কর টোটোযোগে বাসন্তীর আল-মানার মিশন থেকে রওনা দেন রামপুরহাটে ছাগল কেনার উদ্দেশ্যে । ঠিক সেই সময় যাত্রা পথে ধামাখালি দিক থেকে আসা একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে তাঁদের টোটোর মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। গুরুত্বর আঘাতেই ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান হাসা ও আনসার। স্থানীয় বাসিন্দারা দ্রুত ছুটে এসে আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে নিকটবর্তী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান। সেখানেই চিকিৎসকেরা হাসা লস্কর ও আনসার পিয়াদাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত মতিয়ার পিয়াদাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ক্যানিং মহাকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। ভোলা লস্করও গুরুতর জখম অবস্থায় চিকিৎসাধীন।
আর এই দুর্ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া। পরিবারের সদস্যরা ভেঙে পড়েন কান্নায়। সকাল সকাল এমন মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী হয়ে হতভম্ব স্থানীয়রাও। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছেন আল-মানার মিশনের কর্ণধার তথা বিশিষ্ট সমাজকর্মী আনোয়ার হোসেন কাসেমী। পুলিশ বাসটিকে আটক করলেও পালাতক বাসের চালক এবং গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সন্দেশ খালি থানার পুলিশ। এলাকাবাসীর অভিযোগ, এই রাস্তায় বেপরোয়া গাড়ি চালানোর কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে! তাঁদের দাবি, প্রশাসনের উচিত দ্রুত রাস্তার নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা।আর মঙ্গলবার সকালের এই দুর্ঘটনা ফের একবার প্রশ্ন তুলেছে গ্রামীণ সড়কে যানবাহনের নিরাপত্তা ও নিয়ন্ত্রণ নিয়ে। আর হাসা লস্কর ও আনসার পিয়াদার অকাল মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ সমগ্র নির্দেশখালি ও আশপাশের এলাকা। পরিবার পরিজন ছাড়াও আল-মানার মিশনের সদস্য, সদস্যারা ও পরিচিত মহল তাঁদের হারিয়ে বাকরুদ্ধ। সাধারণ মানুষের দাবি, যাতে ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা আর না ঘটে, সেদিকে প্রশাসনের কড়া নজর থাকা প্রয়োজন!


