ধর্মতলায় আইএসএফের কর্মসূচিতে ধুন্ধুমার, অসুস্থ ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী।

ধর্মতলায় আইএসএফের কর্মসূচিতে ধুন্ধুমার, অসুস্থ ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী ।

 সুন্দরবন টিভি ওয়েব ডেক্স  :
সংশোধিত ওয়াকফ আইন ও SIR ইস্যুতে হয়রানির অভিযোগ তুলে বুধবার ধর্মতলায় আইএসএফ-এর ডাকা কর্মসূচি ঘিরে ব্যাপক অশান্তি ছড়াল। মেট্রো চ্যানেল চত্বরে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। পুলিশের অভিযানে আটক হন ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী-সহ বহু কর্মী-সমর্থক। পরে জোড়াসাঁকো থানায় নিয়ে যাওয়া হলে অসুস্থ হয়ে পড়েন নৌশাদ। তাঁকে তড়িঘড়ি ভর্তি করানো হয় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে।
 ঘটনাস্থলে পুলিশের সঙ্গে আইএসএফ সমর্থকদের ব্যাপক ধস্তাধস্তি হয়। বহু কর্মী-সমর্থককে আটক করে বিভিন্ন থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। নৌশাদ সিদ্দিকিকে প্রথমে জোড়াসাঁকো থানায় নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে তিনি বুকে ব্যথার অনুভব করেন এবং অসুস্থ হয়ে পড়েন। পুলিশ ঝুঁকি না নিয়ে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করে। আর এদিনের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে নওশাদ অভিযোগ করেন, “আমরা যখন মিছিল শুরু করতে যাচ্ছিলাম, তখনই আমাকে ধাক্কা দেওয়া হয়। বুকে আঘাত পাই। পরে পুলিশ আমাকে জোর করে প্রিজন ভ্যানে তোলে। সেখান থেকে নামতেই ফের আটক করা হয়। থানায় নিয়ে যাওয়া হলে অসুস্থ হয়ে পড়ি।” 

আর বিক্ষোভকারীদের পক্ষ থেকে ওয়াকফ সংশোধনী আইন প্রত্যাহার, SIR-এর নামে নাগরিক হয়রানি বন্ধ, জাল এসসি-এসটি সার্টিফিকেট বাতিল, ওবিসি সার্টিফিকেটে পিছিয়ে পড়া মুসলিম সমাজের সমস্যার সমাধান এবং পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর ‘অত্যাচার’ বন্ধের দাবিতে সরব হন নেতাকর্মীরা। সেই সঙ্গে এদিন নওশাদ সিদ্দিকী আরও বলেন, “SIR-এর নামে যেভাবে সাধারণ মানুষকে আতঙ্কিত করা হচ্ছে, তা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। বিহারে জ্যান্ত মানুষকে মৃত ঘোষণা করা হচ্ছে। ওবিসি সার্টিফিকেট নিয়ে আতঙ্কে রয়েছেন পিছিয়ে পড়া মুসলিমরা। এসব অন্যায় চলতে দেওয়া যায় না।” অন্যেদিকে, আটক করা আইএসএফ কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে কেউ লালবাজারে, কেউ গিরিশ পার্ক থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কর্মসূচি ঘিরে ধর্মতলার গোটা এলাকা এদিন সকাল থেকে অশান্ত হয়ে ওঠে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন