নুরসেলিম লস্কর, বাসন্তী : রাজ্যসহ সারা দেশজুড়ে যখন তীব্র রক্ত সংকট দেখা দিয়েছে।প্রতিদিন রক্তের অভাবে অসহায় হয়ে পড়ছেন হাজারো থ্যালাসেমিয়া রোগী ও গর্ভবতী মায়েরা— ঠিক সেই সময়ে মানবতার বার্তা নিয়ে এগিয়ে এলো সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকার দুই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বাসন্তী চুনাখালী এডুকেশন অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন এবং বাসন্তী ব্লক ইমাম-মুয়াজ্জিন পরিষদ।
রবিবার সকালে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীর নির্দেশখালির আল-মানার মিশন ক্যাম্পাসে আয়োজিত এই রক্তদান শিবিরে ধর্ম-বর্ণের গণ্ডি পেরিয়ে মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে রক্তদান করেন। চমকপ্রদভাবে, পুরুষদের তুলনায় এদিন মহিলাদের অংশগ্রহণ ছিল বেশি— যা গ্রামীণ সমাজে এক বিরল উদাহরণ। সকাল ৮টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত চলা এই শিবিরে প্রায় দেড় হাজার মানুষ রক্তদান করেন। আর এদিনের এই মানবিক অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাসন্তী পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি আতিয়ার রহমান, শিক্ষারত্ন প্রাপ্ত প্রাক্তন শিক্ষক মোফাক্কার হোসেন মল্লিক, সমাজসেবী আব্দুল মান্নান গাজি, দেশ বাঁচাও সামাজিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক হোসেন গাজি ও বাসন্তী চুনাখালী এডুকেশন এন্ড ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের কর্ণধার মাওলানা আনোয়ার হোসেন কাসেমী সহ অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিত্বরা।
আর এদিনের এই মানবিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করে চুনাখালি এডুকেশন এন্ড ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের কর্ণধার আনোয়ার হোসেন কাসেমী বলেন,'আপনারা জানেন চুনাখালি এডুকেশন এন্ড ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন তার জন্ম লগ্ন থেকে প্রত্যন্ত সুন্দরবনের মানুষের পাশে সব সময় ছিল, আছে এবং থাকবে!যেমন, আয়লা, বুলবুল,ইয়াসের মতো বিপর্যয় থেকে শুরু করে করোনা কালেও। ঠিক অনুরূপ ভাবে আজকে যখন সমগ্র দেশ জুড়ে রক্ত সংকট তৈরী হয়েছে তখন আমরা ভাবলাম এখন রক্ত দানের মাধ্যমে দেশবাসীর পাশে দাঁড়ানো যাবে তাই আমাদের আজকের এই স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরের আয়োজন আমরা করেছি বাসন্তী ব্লক ইমাম- মুয়জ্জিন পরিষদের সাথে যৌথ উদ্যোগে।'
আর এদিনের এই মানবিক শিবিরে অথিতি হিসাবে উপস্থিত থাকা শিক্ষা রন্ত প্রাপ্ত প্রাক্তন শিক্ষক, মাওলানা মোফাক্কার হোসেন মল্লিক জানান,'আজকের আল-মানার মিশন ক্যাম্পাসে আয়োজিত এই রক্ত দান শিবিরে এসে একটা বিষয় আমর খুব নজর কাড়লো, তা হলো এই মহৎ রক্ত দান শিবিরের রক্ত দাতাদের মধ্যে অধিকাংশ মহিলা এবং অধিকাংশ মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষজন। যা সত্যি সমাজের এক ভালো দিক হিসাবে উঠে আসছে। আর এখানে হিন্দু, মুসলিম সবাই একসাথে এভাবে এগিয়ে এসে, যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নিদর্শন তৈরী করলো তা রক্ত দানের মতো মহৎদান কে আরো এক ধাপ উচ্চতায় নিয়ে গেল।'
আর এদিনের এই মানবিক শিবিরে অথিতি হিসাবে উপস্থিত থাকা শিক্ষা রন্ত প্রাপ্ত প্রাক্তন শিক্ষক, মাওলানা মোফাক্কার হোসেন মল্লিক জানান,'আজকের আল-মানার মিশন ক্যাম্পাসে আয়োজিত এই রক্ত দান শিবিরে এসে একটা বিষয় আমর খুব নজর কাড়লো, তা হলো এই মহৎ রক্ত দান শিবিরের রক্ত দাতাদের মধ্যে অধিকাংশ মহিলা এবং অধিকাংশ মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষজন। যা সত্যি সমাজের এক ভালো দিক হিসাবে উঠে আসছে। আর এখানে হিন্দু, মুসলিম সবাই একসাথে এভাবে এগিয়ে এসে, যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নিদর্শন তৈরী করলো তা রক্ত দানের মতো মহৎদান কে আরো এক ধাপ উচ্চতায় নিয়ে গেল।'
আর সব মিলিয়ে বাসন্তী চুনাখালী এডুকেশন অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন এবং বাসন্তী ব্লক ইমাম-মুয়াজ্জিন পরিষদের এদিনের এই রক্তদান শিবির শুধু দেহের রক্ত নয়— মানুষের মধ্যে সহানুভূতি, ভালোবাসা ও মানবতার প্রবাহও জাগিয়ে তুলল এদিন। সেই সঙ্গে সুন্দরবনের মানুষ প্রমাণ করল, জীবন বাঁচাতে একসঙ্গে এগিয়ে এলে কোনো ভৌগোলিক দূরত্ব বা ধর্মীয় বিভাজন বাধা হতে পারে না। রক্তের এই স্রোত একদিন কারও শিরায় প্রাণ ফিরিয়ে দেবে— এটাই সবচেয়ে বড় অর্জন।