নিজেস্ব প্রতিনিধি, বারুইপুর : বারুইপুরে নৃশংসভাবে খুন হয়েছিলেন বিজেপির বুথ সভাপতি রাজীব বিশ্বাস। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। বিজেপি অভিযোগ করেছিল, তৃণমূল কর্মীরাই এই খুনে জড়িত। অন্যদিকে তৃণমূলের দাবি, ঐ ঘটনাটি সম্পূর্ণ পারিবারিক বিবাদ। আর এই রাজনৈতিক টানা পড়নের মধ্যেই সেই আগুনে ঘি ঢাললেন বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা! তিনি এক ভিডিও প্রকাশ করে অভিযোগ করেন, “রাজীব বিশ্বাসকে প্রথমে বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। এরপর পেট্রোল ঢেলে জীবন্ত জ্বালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। খুনের সঙ্গে জড়িত তাঁর নিজের বাবা, ভাই এবং তৃণমূলের দু’জন কর্মী।” তিনি আরও বলেন, “গোটা ঘটনার ভিডিও তুলেছেন এক কলেজ ছাত্রী। তিনি আদালতে বয়ানও দিয়েছেন। খুনিরা সকলে স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলরের ঘনিষ্ঠ।” সেই সঙ্গে বিজেপির দাবি, ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে পুলিশ। তাই কেন্দ্রীয় এজেন্সির তদন্তও দাবি করেছে বিজেপি।
আর এই ঘটনার প্রেক্ষিতে শঙ্কুদেব পণ্ডা আরও বলেন, “রাজীব বিশ্বাস বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সভার আগে এলাকায় বিজেপির পতাকা ও ফেস্টুন লাগাচ্ছিলেন। সেই কারণেই তাঁকে খুন করা হয়েছে।” অন্যদিকে বারুইপুর পুলিশ জেলার এসপি পলাশচন্দ্র ঢালি জানান, “ঘটনার পর বিজেপি অভিযোগ জানিয়েছিল। আমরা পরিবারকে অভিযোগ করতে বলেছিলাম। প্রথমে পরিবার রাজি হয়নি। পরে মৃতের কাকা অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে। মৃতের বাবা ও ভাইকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।”
অন্যদিকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে বারুইপুরের ১৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর অর্চনা মল্লিক বলেন, “ঘটনাটি সম্পূর্ণ পারিবারিক বিবাদ। বিজেপির বুথ সভাপতির খুনের অভিযোগের সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই।” তবে বিজেপির অভিযোগ, ইতিমধ্যেই কলেজ ছাত্রীটির গোপন জবানবন্দি আদালতে রেকর্ড করা হয়েছে। কিন্তু বারুইপুর থানা থেকে তাঁকে নোটিস পাঠিয়ে ভিডিওটি জমা দিতে বলা হয়েছে। আর সব মিলিয়ে এই ঘটনা কে কেন্দ্র করে ফের একবার রাজনৈতিক হিংসার অভিযোগে সরগরম হয়ে উঠেছে বারুইপুর। এখন দেখার পুলিশের তদন্তে কি তথ্য উঠে আসে? রাজনৈতিক হিংসা নাকি পারিবারিক কাহিনী!
অন্যদিকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে বারুইপুরের ১৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর অর্চনা মল্লিক বলেন, “ঘটনাটি সম্পূর্ণ পারিবারিক বিবাদ। বিজেপির বুথ সভাপতির খুনের অভিযোগের সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই।” তবে বিজেপির অভিযোগ, ইতিমধ্যেই কলেজ ছাত্রীটির গোপন জবানবন্দি আদালতে রেকর্ড করা হয়েছে। কিন্তু বারুইপুর থানা থেকে তাঁকে নোটিস পাঠিয়ে ভিডিওটি জমা দিতে বলা হয়েছে। আর সব মিলিয়ে এই ঘটনা কে কেন্দ্র করে ফের একবার রাজনৈতিক হিংসার অভিযোগে সরগরম হয়ে উঠেছে বারুইপুর। এখন দেখার পুলিশের তদন্তে কি তথ্য উঠে আসে? রাজনৈতিক হিংসা নাকি পারিবারিক কাহিনী!