পরকীয়া সম্পর্কের জের! পেয়ারাবাগান থেকে উদ্ধার হলো নিখোঁজ স্বামীর কঙ্কাল। গ্রেপ্তার স্ত্রী ও প্রেমিক।
নিজেস্ব প্রতিনিধি, উস্থি : সিনেমাকেও হার মানানো এই ঘটনা। স্বামীকে খুন করে পুঁতে ফেলা হল পেয়ারাবাগানে, আর অভিযোগের আড়ালে ছিলেন স্বয়ং স্ত্রী! দক্ষিণ ২৪ পরগনার উস্তি থানার শিবপুর এলাকায় সোমবার উদ্ধার হল কাঠ ব্যবসায়ী মহসিন হালদারের কঙ্কাল। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাঁর স্ত্রী তনুজা বিবি ও তার প্রেমিক হাবিবুল্লাকে।
পুলিশ সূত্রে খবর, উস্তির হরিহরপুরের বাসিন্দা মহসিন হালদার প্রায় দু’মাস আগে নিখোঁজ হন। স্ত্রী তনুজা বিবি উস্তি থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। তদন্তে নেমে বিভিন্ন সূত্র ঘেঁটে পুলিশ হাবিবুল্লা নামে এক ব্যক্তির খোঁজ পায়, যিনি মহসিনের অধীনেই কাজ করতেন। সন্দেহভাজন হিসেবে তাঁকে তুলে এনে দীর্ঘ জেরা শুরু করে পুলিশ। আর সেখান থেকেই খুলতে থাকে রহস্যের জট। জেরায় হাবিবুল্লা স্বীকার করে, মহসিনের স্ত্রী তনুজার সঙ্গে তাঁর পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। সেই সম্পর্কেরই ‘বাধা’ হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন মহসিন। পরিকল্পনা মাফিক তাঁকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করে খুন করা হয়। তনুজা নিজেও খুনে সহায়তা করে বলে অভিযোগ। এরপর শিবপুর এলাকার একটি স্কুলের পাশের পেয়ারাবাগানে মৃতদেহ পুঁতে ফেলে তারা। চাঞ্চল্যকরভাবে, খুনের পর কোনও সন্দেহ যাতে না হয়, সেই উদ্দেশ্যে তনুজা নিজেই নিখোঁজ ডায়েরি করে। তবে তদন্তের সময় পুলিশের নজরে আসে—মহসিনের মৃত্যুর কিছুদিন পরেই ডায়মন্ড হারবারের একটি হোটেলে একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল তনুজা ও হাবিবুল্লাকে। এরপরই পুলিশ তনুজার ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আর এদিনের ঘটনার পরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (জোনাল) মিতুন কুমার দে জানিয়েছেন, সোমবার পেয়ারাবাগানে মাটি খুঁড়ে উদ্ধার হয় কঙ্কাল। সেটি ডিএনএ পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। এলাকাজুড়ে ছড়িয়েছে ব্যাপক চাঞ্চল্য।