গভীর সমুদ্রে অসুস্থ মৎস্যজীবী, ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানার তড়িঘড়ি উদ্ধারকার্যে প্রাণরক্ষা।

গভীর সমুদ্রে অসুস্থ মৎস্যজীবী, ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানার তড়িঘড়ি উদ্ধারকার্যে প্রাণরক্ষা।

নিজেস্ব প্রতিনিধি,নামখানা : এখন মাছ ধরার মরশুম চলছে পুরোদমে। ঠিক সেই সময় গভীর সমুদ্রে ঘটে গেল এক চরম বিপদের ঘটনা। তবে সময়মতো পুলিশি তৎপরতায় রক্ষা পেল এক মৎস্যজীবীর প্রাণ। ঘটনাটি ঘটেছে নামখানার উপকূলবর্তী এলাকায়। ‘হংসারাজ’ নামের একটি মৎস্যজীবী ট্রলার ১২ জন মৎস্যজীবীকে নিয়ে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়েছিল। মাঝ সমুদ্রে পৌঁছনোর কিছু সময় পরেই হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন সমর মণ্ডল নামের এক মৎস্যজীবী।সহকর্মীদের চোখের সামনে ধীরে ধীরে অসুস্থ হয়ে পড়ে যান তিনি, এবং কিছুক্ষণের মধ্যে জ্ঞানও হারান। প্রথমে চরম আতঙ্ক ও উদ্বেগের মধ্যে পড়ে যান বাকি মৎস্যজীবীরা। মাঝ সমুদ্রে চিকিৎসা বা সহায়তার কোনও উপায় না থাকায় তাঁরা দ্রুত ওয়ারলেসের মাধ্যমে উপকূলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। খবর পেয়ে তৎক্ষণাৎ নড়েচড়ে বসে ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানা।ঘটনার গুরুত্ব বুঝে, দ্রুততার সঙ্গে কোস্টাল থানার পক্ষ থেকে এফআইবি (ফাস্ট ইন্টারসেপ্ট বোট) পাঠানো হয়। নেতৃত্বে ছিলেন থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক ত্রিদীপ সাহা। গভীর সমুদ্রে অভিযান চালিয়ে অসুস্থ সমর মণ্ডলকে উদ্ধার করে তীরে আনা হয়। পরবর্তীতে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় নামখানার দ্বারীকনগর হাসপাতালে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, সময় মতো না পৌঁছলে পরিস্থিতি আরও গুরুতর হতে পারত। বর্তমানে হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছে এবং তিনি স্থিতিশীল রয়েছেন।

   আর এই ঘটনার পর মৎস্যজীবীদের মধ্যে স্বস্তির নিঃশ্বাস। তাঁরা ফ্রেজারগঞ্জ থানার তৎপরতা ও মানবিক উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। অনেকেরই মত, “মাঝ সমুদ্রে আমরা যাদের ভরসা করতে পারি, তাদের মধ্যে কোস্টাল থানার পুলিশ অন্যতম। ওঁদের জন্যই আজ সমরদার প্রাণটা বাঁচল।” আর ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানার এই সাহসী ও সময়োপযোগী উদ্যোগ ফের একবার প্রমাণ করল—প্রকৃত বিপদের সময়েও সাধারণ মানুষের পাশে আছেন পুলিশ বাহিনী।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন