সাত - সকালে ভোগান্তি ! শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় ট্রেন চলাচল ব্যাহত ।

সাত-সকালে ভোগান্তি ! শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় ট্রেন চলাচল ব্যাহত । 


নুরসেলিম লস্কর, ক্যানিং : আবারও জলজটে রেল বিপর্যয়,পূজোর মুখে ফের নিত্যযাত্রীদের ভোগান্তি বাড়ল শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায়। মঙ্গলবার সাত-সকালে হঠাৎ করেই ক্যানিং, বজবজ, নামখানা, বারুইপুর-সহ একাধিক শাখায় ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়। সকালে অফিস টাইমে এই বিপত্তিতে রীতিমতো চরম সমস্যায় পড়েন হাজার হাজার যাত্রী। কেউ অফিসের পথে, কেউ বা স্কুল-কলেজগামী অথবা কলকাতায় দিন মজুরের শ্রমিক সকলে একসুরে ক্ষোভ উগরে দেন পূর্ব রেলের বিরুদ্ধে।

 আর এবিষয়ে পূর্ব রেলের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, প্রবল বৃষ্টির ফলে বালিগঞ্জ, যাদবপুর সহ লাইনের বিভিন্ন জায়গায় জল জমে যায়। এর জেরেই ট্রেন চলাচল সাময়িকভাবে বিঘ্নিত হয়েছে। তাঁর কথায়, “আমাদের কর্মীরা ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করেছেন। যত দ্রুত সম্ভব পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে।” কিন্তু নিত্যযাত্রীদের ক্ষোভ আরও তীব্র। তাদের অভিযোগ, সামান্য বৃষ্টিতেই যখন বারবার ট্রেন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে, তাহলে আসন্ন দুর্গাপুজোর সময় কী হবে? প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ যাত্রী এই রেললাইনের উপর নির্ভর করেন। অথচ নিকাশি ব্যবস্থা উন্নত না হওয়ায়, অল্প বৃষ্টিতেই জল জমে গিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থায় ভাঙন ধরছে। একজন ক্ষুব্ধ যাত্রীর কথায়, “প্রতিদিন আমরা এই ট্রেনেই যাতায়াত করি। সামান্য বৃষ্টিতেই যদি এই অবস্থা হয়, তবে পুজোর সময় মানুষ বাড়ি ফিরবে কীভাবে? অফিস, ব্যবসা, জরুরি কাজ— সবকিছুই থমকে যাচ্ছে। সবার তো সময়ের দাম আছে নাকি? ”

  যাত্রীদের দাবি, দ্রুত রেললাইন সংলগ্ন খালগুলির সংস্কার করা হোক এবং নিকাশি ব্যবস্থার উন্নতি ঘটানো হোক। পুজোর আগে অন্তত এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান বের করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন তারা। আর রেল সূত্রে খবর, সমস্যা সমাধানে বিশেষ নজরদারি চালানো হচ্ছে। তবে নিত্যযাত্রীদের প্রশ্ন, প্রতি বছর একই সমস্যার পুনরাবৃত্তি হলে কেন স্থায়ী সমাধানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে না? ফলে, একদিকে যখন পুজোর কেনাকাটা ও উৎসবের আনন্দে মানুষ মেতে উঠেছেন, অন্যদিকে প্রতিদিনের যাতায়াত নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। নিত্যযাত্রীদের আশঙ্কা, দুর্গাপুজোর ভিড়ের সময় যদি আবারও এই ধরনের বিপত্তি ঘটে, তবে ভোগান্তির সীমা ছাড়িয়ে যাবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন