বাসন্তীতে গৃহবধূর রহস্যমৃত্যু ! আটক স্বামী।
নুরসেলিম লস্কর, বাসন্তী : ফের চাঞ্চল্য দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীতে। বৃহস্পতিবার সকালে বাসন্তীর আট নম্বর তিতকুমার ঘরামিপাড়ায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় উদ্ধার হল এক গৃহবধূর দেহ। মৃতার নাম সোনালী গাজী (২৫)। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহ উদ্ধার করে বাসন্তী থানার পুলিশ। ইতিমধ্যেই মৃতার স্বামী ওমর ফারুক গাজীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় চার বছর আগে বাসন্তীর চুনাখালির বাসিন্দা সোনালীর সঙ্গে বিবাহ হয় ওমর ফারুকের। বিবাহিত জীবনে তাদের একটি তিন বছরের পুত্র সন্তানও রয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে হঠাৎই বাড়ি থেকে খবর ছড়িয়ে পড়ে যে সোনালী গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলে রয়েছে। প্রতিবেশীরা ছুটে এসে দেখেন গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ। মুহূর্তেই গোটা এলাকায় নেমে আসে চাঞ্চল্য। অন্যদিকে, মৃতার বাপের বাড়ির আত্মীয়রা গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন। তাদের দাবি, এটি আত্মহত্যা নয়, পরিকল্পিত খুন। পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সোনালীর স্বামী প্রায়ই তাকে মারধর ও মানসিক নির্যাতন করত। পারিবারিক অশান্তি ছিল নিত্যনৈমিত্তিক। তাদের আশঙ্কা, সেই অশান্তির জেরেই খুন হতে হয়েছে সোনালীকে। ঘটনার পর থেকেই গ্রামে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে স্বামীকে আটক করা হলেও, এটি আত্মহত্যা নাকি খুন— সেই বিষয়ে এখনও নিশ্চিতভাবে কিছু বলতে পারছে না তদন্তকারীরা। পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ স্পষ্ট হবে। একই সঙ্গে পারিবারিক কলহ ও নির্যাতনের অভিযোগ নিয়েও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আর এই ঘটনায় গোটা এলাকায় নেমে এসেছে শোক ও ক্ষোভের ছায়া। প্রতিবেশীদের অনেকে জানিয়েছেন, সোনালীকে প্রায়ই গৃহকলহের মধ্যে দিয়ে যেতে হতো। তাদের মতে, দীর্ঘদিনের পারিবারিক বিবাদই এই মর্মান্তিক ঘটনার মূল কারণ।সব মিলিয়ে বর্তমানে বাসন্তী থানার পুলিশ একাধিক দিক খতিয়ে দেখছে। স্বামীকে কড়া জেরা করা হচ্ছে। আত্মহত্যা নাকি খুন— সেই ধোঁয়াশা কাটতেই প্রকৃত সত্য সামনে আসবে বলে আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ।


