কালী ঠাকুর বিসর্জনে গিয়ে রাতভর নিখোঁজ, ভাইফোঁটার সকালে উদ্ধার যুবকের দেহ।

কালী ঠাকুর বিসর্জনে গিয়ে রাতভর নিখোঁজ, ভাইফোঁটার সকালে উদ্ধার যুবকের দেহ।


নিজেস্ব প্রতিনিধি, মহেশতলা : উৎসবের আনন্দ মুছে গিয়ে নেমে এলো শোকের ছায়া। কালীপুজোর প্রতিমা বিসর্জন দিতে গিয়ে নিখোঁজ হন এক যুবক। রাতভর তল্লাশি চললেও কোনও হদিশ মেলেনি। অবশেষে ভাইফোঁটার সকালেই নদীর ঘাট থেকে উদ্ধার হয় তাঁর নিথর দেহ। ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে সমগ্র এলাকায়।

     মৃত যুবকের নাম লালু চৌহান (৪১)। বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলা পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের রবীন্দ্রনগরে। পেশায় তিনি ফল বিক্রেতা। জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে ওয়ার্ডের তারা মায়ের মন্দির থেকে মা কালীর প্রতিমা বিসর্জন দিতে হুগলি নদীর অরুণ মিস্ত্রি ঘাটে যান লালু ও তাঁর কয়েকজন সঙ্গী। আর চোখের সামনে ঘটে যাওয়া বিপর্যয় সম্পর্কে প্রত্যক্ষদর্শী সঞ্জীব মাহাতো বলেন, “ঠাকুর ফেলার সময় হঠাৎই লালু প্রতিমার নিচে চাপা পড়ে যায়। মুহূর্তের মধ্যে নদীতে তলিয়ে যায় সে। আমরা চেষ্টা করেও আর তাকে উদ্ধার করতে পারিনি।” রাতভর খোঁজাখুঁজি চালায় পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা, কিন্তু কোনও ফল মেলেনি। অবশেষে বৃহস্পতিবার সকালে, অর্থাৎ ভাইফোঁটার দিন, অরুণ মিস্ত্রি ঘাটের জেটির কাছ থেকে লালুর দেহ ভেসে ওঠে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় মহেশতলা থানার পুলিশ। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

    এবিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা সুনিতা দেবী জানান, “সকালে দেখি কিছু একটা জেটির ধারে ভেসে আছে। কাছে যেতেই বুঝি ওটা লালুর দেহ। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর দিই।” আর এই ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই শোকস্তব্ধ হয়ে পড়ে রবীন্দ্রনগর এলাকা। ভাইফোঁটার আনন্দের সকালে হঠাৎই নেমে আসে মৃত্যু-ছায়া। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন লালুর পরিবার-পরিজন। এলাকার মানুষ বলছেন, “এমন দিনে এমন ঘটনা সত্যিই হৃদয়বিদারক।” উৎসবের আনন্দের মাঝে এক করুণ পরিসমাপ্তি— ভাইফোঁটার সকালে মহেশতলায় যেন নেমে এলো গভীর বিষাদের পর্দা।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন