নরেন্দ্রপুরে খুনের অভিযোগে চাঞ্চল্য, পানীয় সংস্থার ভেতর থেকে এক কর্মীর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার ।

নরেন্দ্রপুরে খুনের অভিযোগে চাঞ্চল্য, পানীয় সংস্থার ভেতর থেকে এক কর্মীর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার ।
 
নিজস্ব প্রতিনিধি, নরেন্দ্রপুর : ইএম বাইপাস সংলগ্ন এক নামী পানীয় প্রস্তুতকারক সংস্থার ভেতর থেকে উদ্ধার হল এক কর্মীর রক্তাক্ত দেহ। শুক্রবার সকালে ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা নরেন্দ্রপুর এলাকায়। মৃতের নাম কবির হোসেন মোল্লা (৩০)। তিনি ওই সংস্থারই কর্মী ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, সংস্থার বাথরুমের ভেতর থেকেই রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় কবিরের দেহ। মৃতের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন থাকায় প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, এটি নিছক দুর্ঘটনা নয়, বরং পরিকল্পিত খুনের ঘটনা হতে পারে। কবিরের পরিবারের দাবি, গত ২২ অক্টোবর দুপুরের পর থেকেই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সেদিনই পরিবারের সঙ্গে শেষবার কথা হয়েছিল তাঁর। এরপর থেকেই তাঁর ফোন বন্ধ ছিল। উদ্বিগ্ন পরিবার পরদিন সংস্থার অফিসে গিয়ে খোঁজ করলে কর্মীরা জানান, “ও তো শিফট পেরিয়ে চলে গেছে।” কিন্তু কোম্পানির অ্যাটেনডেন্স রেজিস্টারে দেখা যায়—‘আউট’ মার্ক করা হয়নি। এই অসঙ্গতি ঘিরেই ক্ষোভ ছড়ায় সহকর্মীদের মধ্যেও।

পরিবারের অভিযোগ, কোম্পানির মধ্যেই পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে কবিরকে। ঘটনার পর থেকেই সংস্থার একাধিক কর্তৃপক্ষ গা ঢাকা দিয়েছে বলেও দাবি উঠেছে। শুক্রবার সকাল থেকেই সংস্থার মূল ফটকের সামনে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন কর্মীরা ও স্থানীয় বাসিন্দারা। বিক্ষোভের জেরে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

 আর এই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ। দেহ উদ্ধার করে পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সংস্থার কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও যোগাযোগের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। ঠিক কীভাবে এবং কোথায় কবিরের মৃত্যু হয়েছে, তা জানতে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে তদন্ত। এক কর্মীর ভাষায়, “আমরা চাই সত্যিটা সামনে আসুক। একজন সহকর্মীর এমন পরিণতি মেনে নেওয়া যায় না।” আর এই রহস্যজনক মৃত্যুকে ঘিরে এখন প্রশ্নের পাহাড়—কীভাবে সংস্থার ভেতরেই ঘটল এমন নৃশংস ঘটনা? এবং কেনই বা নিখোঁজ হয়ে গেল সংস্থার কর্তৃপক্ষ? তদন্তে এই প্রশ্নগুলিরই উত্তর খুঁজছে পুলিশ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন