নিজেস্ব প্রতিনিধি, ভাঙড় : ভাঙড় দু’নম্বর ব্লকের ছেলেগোয়ালিয়া এলাকায় তৃণমূল কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ ঘিরে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত করা হয়েছে আইএসএফের কর্মীদের বিরুদ্ধে। শুক্রবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বিশাল প্রতিবাদ মিছিল ও সভার আয়োজন করা হয়। নেতৃত্বে ছিলেন ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক তথা ভাঙড়ের তৃণমূল পর্যবেক্ষক শওকত মোল্লা।
তৃণমূলের অভিযোগ, গত বুধবার রাতে আইএসএফের কর্মীরা পরিকল্পিতভাবে তৃণমূলের দুই কর্মীকে মারধর করে। ঘটনার পর থেকেই এলাকায় চাপা উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তবে এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী জানান, “এই সমস্ত অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। তৃণমূল কংগ্রেস নাটক করছে। প্রশাসনকে বলব সঠিকভাবে তদন্ত করুক। না হলে আমরা কোর্টে গিয়ে বিষয়টি বুঝে নেব।” অন্যদিকে, শুক্রবার সেই অভিযোগের প্রতিবাদে ছেলেগোয়ালিয়া এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের হাজার হাজার কর্মী-সমর্থককে সঙ্গে নিয়ে মিছিল ও সভা করেন তৃণমূল কংগ্রেসের ভাঙড়ের পর্যবেক্ষক তথা ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা। এলাকার রাস্তায় তৃণমূলের পতাকা ও ব্যানারে মুখরিত হয় গোটা অঞ্চল। মিছিল শেষে এক জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে আইএসএফ ও নওশাদ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে তীব্র হুঁশিয়ারি দেন শওকত মোল্লা।
তিনি বলেন, “যে আগুন নিয়ে খেলা শুরু করেছে, একদিন সেই আগুনেই কিন্তু পুড়তে হবে। নওশাদ সিদ্দিকী বৈরাগত হুগলি থেকে ভাঙড়ে দালালি করতে এসেছে। ওকে আমি পরিষ্কার বলে দিতে চাই— ভাঙড়ে এবার তৃণমূল কংগ্রেস জিতবে, আইএসএফ নয়। তাই এখনই লাফালাফি বন্ধ করুন।” আর শওকত মোল্লার এই মন্তব্য ঘিরে এলাকায় ফের রাজনৈতিক উত্তাপ তৈরি হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, এই ঘটনার পর থেকে ভাঙড়ের একাধিক এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি যাতে আরও উত্তপ্ত না হয়, তার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ নজরদারি চালানো হচ্ছে। তবে তৃণমূলের পক্ষ থেকে দাবি, এই মিছিলের মাধ্যমে ভাঙড়ের মানুষ দেখেছেন— তারা উন্নয়নের রাজনীতি চান, সন্ত্রাসের নয়।


