পলাশ তরফদার, বাসন্তী : সুন্দরবনের ভয়ানক ভঙ্গুর নদী বাঁধ রক্ষা করতে এগিয়ে এলেন গ্রামের মহিলারা। কারণ সুন্দরবনের বাসিন্দাদের যে নদীর ধারে বাস, তাই চিন্তা বারো মাস ।সেই প্রসঙ্গকে মাথায় রেখে প্রত্যন্ত সুন্দরবনের গ্রামের মহিলারা এগিয়ে এলো। আগে যে একের পর এক ঘূর্ণিঝড় তাদের উপর যে তান্ডপ চালিয়েছিল। তার ক্ষত তো এখন টাটকা ঐ সকল মায়েদের মনে। কারণ ঐ ঝড় গুলির ফলে যে আশ্রয় হীন হয়ে পড়েছিল লক্ষ লক্ষ সুন্দরবনের বাসিন্দারা। সেই সময় কেবল তাদের সামনে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল এই ম্যানগ্রোভ গাছ গুলি। সেদিন যদি এই ম্যানগ্রোভ বন ভূমি না থাকলে তাহলে হয়তো সর্বস্ব হারিয়ে যেত তাই নয় সেদিন হয়তো তাদের প্রাণটাও চলে যেত!
তাই তো রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ম্যানগ্রোভ কে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে পাঁচ কোটি ম্যানগ্রোভের চারা বসানো হয়েছে সুন্দরবনের বুকে। সেই মতো মুখ্যমন্ত্রীর দেখানো পথে হেঁটে আজ সকালে প্রত্যন্ত সুন্দরবনের বাসন্তী ব্লকের উত্তর মোকামবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের নলিয়াখালি মৌজার জিরো গ্রাউন্ডে এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে মাতলা নদীর ভঙ্গুর নদী বাঁধ গুলির আশপাশে ম্যানগ্রোভের বিভিন্ন প্রজাতির চারা রোপন করতে দেখা গেল স্বনির্ভর দলের মায়েদের।
আর এদিনের এই ম্যানগ্রোভ রোপন কর্মসূচি সম্পর্কে ঐ স্বনির্ভর দলের মায়েরা জানান, "আমরা যেমন আমাদের সন্তান দের লালন পালন করি ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে ঠিক তেমনি এই আমাদের গর্বের সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ বনভূমিকেও আমরা লালন পালন করি সারা বছর! কারণ, এই ম্যানগ্রোভ না থাকলে সুন্দরবন থাকবে না আর সুন্দরবন না থাকলে যে আমরা থাকবো না তাই "।


