চায়ের চুমুকে উন্নয়নের গল্প । ডায়মন্ড হারবারে অভিনব দলীয় কর্মসূচিতে সামিম আহমেদ ।

চায়ের চুমুকে উন্নয়নের গল্প ।  ডায়মন্ড হারবারে অভিনব দলীয় কর্মসূচিতে সামিম আহমেদ ।

বাইজিদ মন্ডল, ডায়মন্ড হারবাব : বর্তমান সময়ে দেশজুড়ে চলছে স্যার আতঙ্ক। এই আতঙ্ক ও অনিশ্চয়তার আবহে, সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের সমস্যা ও প্রয়োজনের কথা সরাসরি শোনার লক্ষ্যে উদ্যোগ নিল তৃণমূল কংগ্রেস। ডায়মন্ড হারবার লোকসভার সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-এর নির্দেশে এবং ডায়মন্ড হারবার বিধানসভার দলীয় পর্যবেক্ষক সামিম আহমেদ-এর ব্যবস্থাপনায় বুধবার পাতরা অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেস ভবনে অনুষ্ঠিত হলো এক ব্যতিক্রমী কর্মসূচি — “নতুন হাটে চায়ের চুমুকে উন্নয়নের গল্প”।


এদিনের এই কর্মসূচির লক্ষ্য ছিল সাধারণ মানুষের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করা এবং এলাকার উন্নয়নের ধারা বজায় রাখা। চায়ের আড্ডায় নেতা, কর্মী ও সাধারণ মানুষ একসঙ্গে বসে এলাকার সমস্যাগুলি নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করেন। কেউ রাস্তাঘাট ও আলোর সমস্যা তোলেন, কেউ আবার স্বাস্থ্য পরিষেবা, বিদ্যালয়, পানীয়জল ও কর্মসংস্থান নিয়ে মতামত দেন। আর সেসব শুনে নেতারা তাৎক্ষণিকভাবে নোট নেন ও সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেন।আর এদিনের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডায়মন্ড হারবার বিধানসভার দলীয় পর্যবেক্ষক সামিম আহমেদ, রাজ্য তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মইদুল ইসলাম, ডায়মন্ড হারবার ২ নম্বর ব্লক তৃণমূল সভাপতি অরুময় গায়েন, যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক ব্যানার্জি, ১ নম্বর ব্লক তৃণমূল সভাপতি সন্দ্বীপ সরকার, যুব সভাপতি মিজানুর রহমান, পঞ্চায়েত প্রধান মইদুল ইসলাম, পাতরা অঞ্চল নেতৃত্ব বুলা, সহ আরও অনেকে।



আর এই অভিনব অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সামিম আহমেদ বলেন, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ডায়মন্ড হারবার আজ উন্নয়নের এক নতুন দিশা দেখছে। আমরা চাই এই উন্নয়নের ধারা যেন আরও দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলে। এলাকার প্রতিটি মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে চাই সরকারের সুবিধা ও সেবাগুলি।” তিনি আরও জানান, এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য শুধুমাত্র আড্ডা নয়, বরং মানুষের কাছ থেকে সরাসরি প্রতিক্রিয়া সংগ্রহ করে পরবর্তী উন্নয়ন পরিকল্পনা তৈরি করা। সেই সঙ্গে রাজ্য তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মইদুল ইসলাম বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেস সবসময় মানুষের দল। আমরা রাজনীতি করি মানুষের জন্য, তাদের হাসি ফিরিয়ে আনাই আমাদের লক্ষ্য।”



আর চায়ের কাপ হাতে উন্নয়নের গল্প শুনতে শুনতে এলাকাবাসীও জানান তাঁদের দীর্ঘদিনের অভিযোগ ও সমস্যাগুলি। একাধিক ব্যক্তি বলেন, এই ধরনের কর্মসূচি তাঁদের কাছে এক নতুন অভিজ্ঞতা, কারণ এতে তাঁরা তাঁদের কথাগুলি সরাসরি নেতৃত্বের কাছে তুলে ধরতে পারছেন। আর অনুষ্ঠান শেষে দলের নেতারা জানিয়েছেন, আগামী দিনে ডায়মন্ড হারবারের বিভিন্ন অঞ্চলেও এই ধরনের “চায়ের চুমুকে উন্নয়নের গল্প” কর্মসূচি চালানো হবে, যাতে এলাকার মানুষ ও দলের মধ্যে আরও নিবিড় সম্পর্ক গড়ে ওঠে।আর সব মিলিয়ে এদিনের এই উদ্যোগের মধ্য দিয়ে স্পষ্ট, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেস শুধু নির্বাচনী রাজনীতিতে নয়, জনসংযোগের ক্ষেত্রেও এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চাইছেন, তা কিন্তূ স্পষ্ট !

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন