শীতের সকালে উষ্ণতার ছোঁয়া সুন্দরবনে।

শীতের সকালে উষ্ণতার ছোঁয়া সুন্দরবনে।


নুরসেলিম লস্কর, বাসন্তী : প্রত্যন্ত সুন্দরবনের পিছিয়ে পড়া ব্লক বাসন্তীর কলাহাজরা গ্রামে শীতের দিনে মানবিকতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত গড়ল সোনারপুরের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘শুভেচ্ছা’। শনিবার ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গেই কয়েকশো কম্বল ও কিছু খাদ্যসামগ্রী নিয়ে ওই গ্রামে পৌঁছন ঐ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা। এরপর এলাকার বাসিন্দাদের সহযোগিতায় গ্রামের কয়েকশো অসহায় ও দুস্থ পরিবারের সদস্যদের হাতে সেই শীতবস্ত্র ঐ ঐ খাদ্য সামগ্রী তুলে দেয় তাঁরা।


আর সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এই এলাকায় ডিসেম্বরের হাড়কাঁপানো ঠান্ডায় যখন নিত্যদিনের জীবনযাপনই কঠিন হয়ে উঠছে, ঠিক সেই মুহূর্তে এই শীতবস্ত্র পেয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন ঐ গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দারা। আর শীত বস্ত্র পেয়ে হাঁসি মুখে ঐ গ্রামের বাসিন্দারা জানান,আমাদের দুর্গম এলাকা হওয়ায় এমন সহায়তা খুব কমই পৌঁছয়। তাই এই উদ্যোগ আমাদের কাছে বিশেষভাবে মূল্যবান। আর প্রত্যন্ত এলাকার বাসিন্দাদের ঠান্ডার হাত থেকে মুক্তির পথ দেখানো স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘শুভেচ্ছা’-র সম্পাদক নারায়ণ বৈদ্য জানান, সমাজের প্রান্তিক মানুষদের পাশে দাঁড়ানোই আমাদের মূল লক্ষ্য। আমরা যেমন খুশির ঈদে, বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব শারদীয়াতে বিভিন্ন এলাকার অসহায় মানুষদের মুখে হাঁসি ফোঁটাতে নতুন বস্ত্র তুলে দিয় ঠিক তেমনি ভাবে এই শীতকালেও আমাদের সংগঠন সুন্দরবনের মতো পিছিয়ে পড়া এলাকার মানুষদের ঠান্ডার হাত থেকে মুক্তি দিতে এভাবে শীত বস্ত্র তুলে দিয়। সেই সঙ্গে তিনি আরও জানান যে,ভবিষ্যতেও সুন্দরবন-সহ বিভিন্ন পিছিয়ে পড়া এলাকায় এই ধরনের মানবিক কর্মসূচি তাঁরা চালিয়ে যাবেন।



আর সব মিলিয়ে এদিনের এই শীতের সকালে এই উদ্যোগ শুধু কম্বল বিতরণেই সীমাবদ্ধ থাকেনি, বরং সুন্দরবনের প্রত্যন্ত গ্রামে মানবিকতার উষ্ণ বার্তাও পৌঁছে দিয়েছে শুভেচ্ছার সদস্যরা।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন