নুরসেলিম লস্কর, ক্যানিং : চলন্ত ট্রেনের মধ্যে এক মহিলা যাত্রীকে নোংরা জল ছুঁড়ে আক্রমণ এবং অশালীন আচরণের অভিযোগে তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়েছে যাত্রী মহলে। অভিযোগ, শুক্রবার বিকেল ৩:৪০ মিনিটের ডাউন শিয়ালদহ–ক্যানিং লোকালে বালিগঞ্জ থেকে ওঠার পর থেকেই কয়েকজন নিত্যযাত্রী ওই মহিলার সঙ্গে দুর্ব্যবহার শুরু করে।
জানা গিয়েছে, ক্যানিং গার্লস স্কুল পাড়া এলাকার বাসিন্দা এক চক্ষু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের স্ত্রী সুপ্রিয়া রায় বেরার ক্যানিংগামী ঐ ট্রেনটি ঘুটিয়ারী শরীফ স্টেশনে পৌঁছনোর আগেই তার সঙ্গে জোর করে বচসায় জড়িয়ে পড়ে কয়েকজন যাত্রী। শুধু বচসা নয়, অভিযোগ উঠেছে, কামরার মধ্যে জায়গা দখল করে তাস খেলছিল কয়েকজন যুবক। প্রতিবাদ করতেই পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে থাকে। সুপ্রিয়া দেবীর অভিযোগ, তাঁর সঙ্গে অশালীন ব্যবহারও করেন তারা। তার পর ঘুটিয়ারী শরীফ স্টেশনে ট্রেন থামতেই আচমকাই তাদের মধ্যে এক যুবক তাঁর গায়ে একটি বোতলভর্তি নোংরা জল ছুঁড়ে দেয়। মুহূর্তে তাঁর মুখ ও চোখে জ্বালা শুরু হয়। ঘটনার পরই ওই যুবক ট্রেন থেকে নেমে পালিয়ে যায়। পরে বাকি অভিযুক্তরাও বেতবেড়িয়া (ঘোলা), তালদী ও মাতলা স্টেশনগুলিতে নেমে সটকে পড়ে। তবে হাল ছাড়েননি সুপ্রিয়া দেবী। সুযোগ বুঝে অভিযুক্তদের ছবি মোবাইলে তুলে রাখেন তিনি। এরপর ক্যানিং স্টেশনে নেমেই ক্যানিং জিআরপি-তে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
আর এই ঘটনা প্রসঙ্গে সুপ্রিয়া রায় বেরা বলেন,“ট্রেনে সিসিটিভি থাকলেও সাধারণ যাত্রীরা নিরাপদ নন। যে আচরণ করা হয়েছে, তা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। বোতলে যদি অ্যাসিড থাকত, তাহলে ভয়ঙ্কর বিপদ হতে পারত। আমি অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তি চাই। যাতে এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে।” আর ইতিমধ্যেই সুপ্রিয়া দেবীর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে রেল পুলিশ। তবে দিনে দুপুরে ঘটে যাওয়া এই ঘটনার পরে আবারও লোকাল ট্রেনে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলো ।


