সোনারপুর বইমেলায় বিজ্ঞান প্রদর্শনী এখন অন্যতম আকর্ষণ !

সোনারপুর বইমেলায় বিজ্ঞান প্রদর্শনী এখন অন্যতম আকর্ষণ !

নিজস্ব প্রতিনিধি, সোনারপুর :
বইমেলা এখন আর শুধু কলকাতা বইমেলার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। শহরের গণ্ডি পেরিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে বইমেলার সংস্কৃতি। তারই উজ্জ্বল উদাহরণ দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুর বইমেলা। এবছর উত্তর সোনারপুর নয়াবাদ বইমেলা দশম বর্ষে পা রাখল, যা ইতিমধ্যেই এলাকাবাসীর কাছে এক বড় সাংস্কৃতিক উৎসবে পরিণত হয়েছে। খেয়াদহ–১ গ্রাম পঞ্চায়েত, খেয়াদহ–২ গ্রাম পঞ্চায়েত, কামরাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েত এবং সোনারপুর বঙ্গীয় শিশু সাহিত্য অঙ্গনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই বইমেলায় প্রথম দিন থেকেই দর্শনার্থীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।
 

বইমেলা মানেই শুধু বইয়ের স্টল—এই ধারণা ভেঙে দিয়ে এবছর মেলায় বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে রাখা হয়েছে ছাত্রছাত্রীদের জন্য বিজ্ঞান প্রদর্শনী। বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক মডেল ও পরীক্ষার মাধ্যমে বিজ্ঞানের সহজ ব্যাখ্যা তুলে ধরা হয়েছে, যা স্কুল পড়ুয়া পড়ুয়াদের মধ্যে প্রবল উৎসাহ তৈরি করেছে। ছাত্রছাত্রীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ মেলাকে দিয়েছে আলাদা মাত্রা। মেলায় রয়েছে নামী-দামি বিভিন্ন প্রকাশনা সংস্থার বইয়ের স্টল, পাশাপাশি দর্শনার্থীদের জন্য বাহারি খাবারের স্টলও। শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে প্রবীণ—সব বয়সের মানুষের উপস্থিতিতে জমজমাট হয়ে উঠেছে গোটা মেলা প্রাঙ্গণ। কেউ বাবা-মায়ের হাত ধরে, কেউ আবার দাদু-ঠাকুমার সঙ্গে এসে বই কিনছেন। বইয়ের গন্ধ আর পাতার শব্দে যেন ফিরে এসেছে হারিয়ে যাওয়া পাঠাভ্যাস।
 

বইমেলাকে কেন্দ্র করে প্রতিদিনই আয়োজন করা হয়েছে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। শিক্ষামূলক আলোচনা, বিতর্কসভা, কবিতা আবৃত্তি, নৃত্য ও সংগীত পরিবেশন দর্শকদের বিশেষ আকর্ষণ হয়ে উঠেছে। আয়োজকদের দাবি, গত কয়েক বছরের তুলনায় এবছর বই বিক্রির হার উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে, যা প্রমাণ করে ডিজিটাল যুগেও বইয়ের প্রতি মানুষের আগ্রহ এখনও অটুট।
 

আর এই বইমেলার উদ্বোধন করেন বইমেলা কমিটির চেয়ারম্যান ও সোনারপুর উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক ফিরদৌসী বেগম। তাঁর উপস্থিতিতে মেলার গুরুত্ব আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। সব মিলিয়ে সোনারপুর বইমেলা শুধুমাত্র বই কেনাবেচার জায়গা নয়, বরং শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতির মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে—এমনটাই মত দর্শনার্থীদের।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন