নুরসেলিম লস্কর, ক্যানিং : আবারও প্রাণহানির আশঙ্কা প্রকাশ করলেন ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক পরেশ রাম দাস। তাঁকে প্রাণে মারতে কয়েক লক্ষ টাকার রফা হয়েছে কয়েকজন যুবকের মধ্যে। এমন ওই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ নিয়ে পুলিশে দারস্ত হলেন শাসকদলের বিধায়ক পরেশ রাম দাস।প্রসঙ্গত,বেশ কয়েক মাস আগেও প্রাণহানির আশঙ্কা প্রকাশ করে পুলিশে দারস্ত হয়েছিল ক্যানিং পশ্চিমের এই বিধায়ক। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে সেই সময় চিরঞ্জিত হালদার ওরফে চিরন নামের এক যুবককে গ্রেফতারও করে পুলিশ। আর বুধবার ফের তেমনি এক অভিযোগ নিয়ে বারাইপুর জেলা পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ জমা দিলেন বিধায়ক পরেশ রাম দাস।এই বিষয়ে অভিযোগকারী ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক পরেশ রাম দাস জানান যে, ” গত ১০ তারিখে আমার এক শুভাকাঙ্ক্ষী আমার বাড়িতে এসে জানায় যে, চিরঞ্জিৎ হালদার ওরফে চিরন সে জেল থেকে জামিনে ছাড়া পাওয়ার পর আবার নতুন করে কয়েকজন যুবককে সঙ্গে নিয়ে তাদেরকে টাকা দিয়ে আমাকে মারার নতুন করে চক্রান্ত করছে। আর চিরনসহ এইসব সমাজ বিরোধী দুষ্কৃতীদের এইসব কাজে মদদ দিচ্ছে বিজেপি ও আর এস এস।কারণ সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচনে আছে আর ক্যানিংয়ে কোন সংগঠন নেই বা তাদের পায়ের তলায় মাটি না থাকায় এইসব সমাজ বিরোধীদের কে দিয়ে এলাকা অশান্তির চেষ্টা করছে। এ বিষয়ে আমি আজ দুপুরে বারাইপুর জেলা পুলিশের অফিসে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। পুলিশ তদন্ত করে দেখছে বলে আমাকে আশ্বাস দিয়েছে এবং এ বিষয়ে আমি আমার দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জি ও আমাদের তৃণমূল কংগ্রেসের দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেউও এবিষয়ে আমি জানাবো। তারপর সব দিক দেখে ভবিষ্যতে সিদ্ধান্ত নেবো “।আরে শাসকদলের বিধায়কের এই অভিযোগ কে মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিয়ে বিজেপি নেতা তথা বিজেপির জয়নগর সংগঠনিক জেলার মিডিয়া সেলের সভাপতি সঞ্জয় নায়ক বলেন,”গত ১১ বছরের তৃণমূল জামানায় যে হারে তাদের নিজেদের মধ্যে লুটেপুটে খাওয়ার জন্য যে খুনো খুনির রাজনীতি তারা করেছে,তা সবার জানা। আর তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-মন্ত্রীদের একটি অভ্যাস হয়ে গেছে প্রতিটি ক্ষেত্রেই বিজেপি এবং আরএসএস এর ছায়া দেখতে পাওয়া। আমরা চাইনা বাংলার কোন বিধায়ক তার জীবনের অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে দিন পার করুক। আর এইসব খুনোখুনির রাজনীতি বন্ধ করতে গেলে আমার মনে তাদের নিজেদের মধ্যে ভাগ বাটোয়ারার জন্য গোষ্ঠী কোন্দল আগে বন্ধ করুক তারা ।