রক্তাল্পতা রুখতে ক্যানিংয়ে চিকিৎসকদের সচেতনতা অভিযান।

রক্তাল্পতা রুখতে ক্যানিংয়ে চিকিৎসকদের সচেতনতা অভিযান।


নুরসেলিম লস্কর, ক্যানিং : শনিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ের রাজার লাট পাড়ায় এক ব্যতিক্রমী স্বাস্থ্য সচেতনতা কর্মসূচির আয়োজন করা হলো। আজ রাখি বন্ধন দিবস, এবং স্বাধীন হিরোশিমা দিবসকে কেন্দ্র করে “রক্ত অল্পতা ও তার প্রতিকার” শীর্ষক এক বিশেষ মনোজ্ঞ সেমিনারের আয়োজন করা হয় বিশিষ্ট ডাঃ পি. কে. পাল-এর চেম্বারে। এদিনের এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাঃ লিয়াকত আলি লস্কর সেই সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ডাঃ দেবশ্রী ঘোষ, ডাঃ সেলিমা খাতুন, ডাঃ পম্পা মন্ডল, ডাঃ ছন্দা মন্ডল, ডাঃ রুমা নস্কর, ডাঃ রেহেনুমা পারভিনসহ ক্যানিং বায়োকেমিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের একাধিক চিকিৎসক ও শিক্ষানবিশরা।পাশাপাশি সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ সহ প্রাক্তন শিক্ষক রামেশ্বর পাত্রের মতো বহু শিক্ষক-শিক্ষিকারাও এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

    সেমিনারে চিকিৎসকরা রক্তাল্পতা বা অ্যানিমিয়ার বিভিন্ন কারণ, লক্ষণ এবং প্রতিরোধের উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। বক্তারা জানান, রক্তাল্পতা মূলত শরীরে আয়রনের অভাব, অপুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাস, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ এবং দীর্ঘস্থায়ী রোগের কারণে হয়ে থাকে। বিশেষ করে গর্ভবতী মহিলা, শিশু ও কিশোরীদের মধ্যে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। এবিষয়ে ডাঃ দেবশ্রী ঘোষ বলেন, “সুষম খাদ্যাভ্যাস, আয়রনসমৃদ্ধ খাবার যেমন—সবুজ শাকসবজি, ডাল, ডিম, মাছ, লাল মাংস, ও ভিটামিন ‘সি’ সমৃদ্ধ ফল প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখলে রক্তাল্পতা অনেকটাই প্রতিরোধ করা সম্ভব।” 

অন্যদিকে, ডাঃ সেলিমা খাতুন অ্যানিমিয়ার প্রাথমিক লক্ষণ যেমন—অতিরিক্ত ক্লান্তি, মাথা ঘোরা, শ্বাসকষ্ট, ত্বক ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়া—এসব উপেক্ষা না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার পরামর্শ দেন। আর সেমিনারের শেষ পর্যায়ে উপস্থিত অতিথি ও অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির শপথ গ্রহণ করানো হয়। সেই সঙ্গে আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, গ্রামীণ ও প্রান্তিক এলাকায় এই ধরনের সচেতনতামূলক কর্মসূচি নিয়মিতভাবে আয়োজন করা হবে, যাতে সাধারণ মানুষ অ্যানিমিয়ার ঝুঁকি ও প্রতিরোধ সম্পর্কে সঠিক ধারণা পান।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন