নুরসেলিম লস্কর, ক্যানিং : আলোর উৎসব দীপাবলি ও কালিপুজো ঘিরে সাজ সাজ রব এখন চারদিকে। তবে উৎসবের আনন্দের মধ্যেই বাজি নিয়ে বাড়ছে প্রশাসনিক তৎপরতা। বারুইপুর ও সুন্দরবন পুলিশ জেলার অন্তর্গত ক্যানিং, ঢোলাহাট, জয়নগর, রায়দিঘি থেকে শুরু করে গোসাবা পর্যন্ত সর্বত্রই কড়া নজরদারি চালাচ্ছে পুলিশ প্রশাসন। বেআইনি বাজির মজুত, বিক্রি কিংবা পরিবহণ রুখতে চলছে একাধিক অভিযান। কোথাও মাইকিং করে জনসচেতনতা প্রচার, কোথাও দোকানে দোকানে তল্লাশি—সব ক্ষেত্রেই পুলিশের কড়া অবস্থান স্পষ্ট।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ঢোলাহাটে এক বাড়িতে বিপুল পরিমাণ বাজি মজুত থাকায় আগুন লেগে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। ঘটনায় কয়েকজনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। তার আগেও রায়দিঘির কৌতলাতে একই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেছিল। এসব ঘটনার পর থেকেই এবছর আগাম প্রস্তুতি ও সতর্কতা আরও জোরদার করা হয়েছে। পুলিশ প্রশাসন ও স্থানীয় প্রশাসন যৌথভাবে কাজ করছে যাতে কোনোভাবেই দুর্ঘটনা না ঘটে এবং বেআইনি বাজির ব্যবহার বন্ধ থাকে। এদিকে সতর্কতার পাশাপাশি এবার কিছুটা স্বস্তিতেও বাজি প্রস্তুতকারক ও বিক্রেতারা। দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ বাজির শব্দমাত্রার সীমা ৯০ ডেসিবেল থেকে বাড়িয়ে ১২৫ ডেসিবেল নির্ধারণ করেছে। ফলে নতুন নিয়মের আওতায় থেকেই শব্দবাজি তৈরি ও বিক্রির অনুমতি পেয়ে খুশি ব্যবসায়ীরা। ১২৫ ডেসিবেলের নিচে ঘুরিয়ে নানা ধরনের নতুন বাজি তৈরি হচ্ছে—যা আইনত বৈধ বলেই জানিয়েছেন প্রস্তুতকারকরা। তবে শুধুমাত্র শব্দবাজি নয়, এখন গুরুত্ব পাচ্ছে পরিবেশবান্ধব “সবুজ বাজি”। আদালতের নির্দেশে অনেক বাজি প্রস্তুতকারক “নিরি” (ন্যাশনাল এনভায়রনমেন্টাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট)-এর প্রশিক্ষণ নিয়ে সবুজ বাজি তৈরির পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। তাঁরা এখন তৈরি করছেন কম দূষণকারী তুবড়ি, রংমশাল ও চড়কি। এতে যেমন পরিবেশের ক্ষতি কম হবে, তেমনি উৎসবও হবে নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ।
আর এবিষয়ে সুন্দরবন পুলিশ জেলার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “আমরা চাই মানুষ আনন্দ করুক, তবে সেটা যেন নিয়ম মেনে হয়। শব্দবাজি ও বেআইনি বাজির বিরুদ্ধে কোনও রকম ছাড় দেওয়া হবে না। পুজোর দিন রাতেও টহলদারি ও বিশেষ নজরদারি থাকবে।” সেই সঙ্গে সবুজ বাজির প্রচার ও শব্দসীমা রক্ষায় পরিবেশ দফতরও সমান্তরাল ভাবে কাজ করছে। জনসচেতনতা বাড়াতে বিভিন্ন এলাকায় স্কুল, ক্লাব ও সামাজিক সংগঠনের সহায়তায় প্রচার চালানো হচ্ছে। আর উৎসবের আনন্দে যাতে কোনও দুর্ঘটনা বা দূষণের ছাপ না পড়ে, সেই লক্ষ্যে এবার পুলিশ, প্রশাসন, পরিবেশ দফতর ও বাজি ব্যবসায়ীরা একসঙ্গে কাজ করছে। হাতে আর মাত্র একটা দিন—এই অল্প সময়টুকু শান্তিপূর্ণভাবে পার করতে পারলেই দীপাবলি ও কালিপুজোর আলোয় ভরে উঠবে গোটা সুন্দরবন এলাকা। আর সব মিলিয়ে এবছর কড়া নজরদারিতে, কিন্তু আশাবাদের আলোয় উজ্জ্বল দীপাবলি—এই প্রত্যাশাতেই মুখর প্রশাসন থেকে সাধারণ মানুষ সকলেই।
আর এবিষয়ে সুন্দরবন পুলিশ জেলার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “আমরা চাই মানুষ আনন্দ করুক, তবে সেটা যেন নিয়ম মেনে হয়। শব্দবাজি ও বেআইনি বাজির বিরুদ্ধে কোনও রকম ছাড় দেওয়া হবে না। পুজোর দিন রাতেও টহলদারি ও বিশেষ নজরদারি থাকবে।” সেই সঙ্গে সবুজ বাজির প্রচার ও শব্দসীমা রক্ষায় পরিবেশ দফতরও সমান্তরাল ভাবে কাজ করছে। জনসচেতনতা বাড়াতে বিভিন্ন এলাকায় স্কুল, ক্লাব ও সামাজিক সংগঠনের সহায়তায় প্রচার চালানো হচ্ছে। আর উৎসবের আনন্দে যাতে কোনও দুর্ঘটনা বা দূষণের ছাপ না পড়ে, সেই লক্ষ্যে এবার পুলিশ, প্রশাসন, পরিবেশ দফতর ও বাজি ব্যবসায়ীরা একসঙ্গে কাজ করছে। হাতে আর মাত্র একটা দিন—এই অল্প সময়টুকু শান্তিপূর্ণভাবে পার করতে পারলেই দীপাবলি ও কালিপুজোর আলোয় ভরে উঠবে গোটা সুন্দরবন এলাকা। আর সব মিলিয়ে এবছর কড়া নজরদারিতে, কিন্তু আশাবাদের আলোয় উজ্জ্বল দীপাবলি—এই প্রত্যাশাতেই মুখর প্রশাসন থেকে সাধারণ মানুষ সকলেই।